লাইসেন্স ছাড়াই অস্ত্রোপচার চারু মার্কেটে, পা কেটে বাদ গেল রোগীর

লাইসেন্স ছাড়াই অস্ত্রোপচার চারু মার্কেটে, পা কেটে বাদ গেল রোগীর

খাস কলকাতা চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অথচ লাইসেন্স ছাড়াই সেখানে রোগীর অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। আর সেখানে ভুল চিকিৎসার জেরে এক রোগীকে বাঁ পা কেটে বাদ দিতে হলো। এমনই অভিযোগ উঠেছে শরৎ বোস রোডের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বেআইনি কাজ বন্ধ করার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। পাশাপাশি ওই রোগীর কাছ থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার যাবতীয় নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে মামলা করেছিলেন চারু মার্কেটের বাসিন্দা দেবলীনা রায়। তাঁর বাবা জিতেন্দ্রনাথ রায়ের পায়ের শিরায় ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যায় ভুগছিলেন। তা থেকে মুক্তি পেতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি অস্ত্রোপচার করেছিলেন। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৯৬/২এ শরৎ বোস রোডে ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবস্থিত। তাদের লাইসেন্সে প্যাথলজি কালেকশন সেন্টার লেখা রয়েছে। সে অনুযায়ী সেখানে শুধুমাত্র নমুনা সংগ্রহ করারই কথা। এছাড়া, ১০ জন ডাক্তারের একটি ক্লিনিক রয়েছে। সেটি হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।

বিজ্ঞাপন দিয়ে রোগী জোগাড় করে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেই বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে গিয়েছিলেন ওই রোগী। ইন্ট্রাভেনাস অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাতে সমস্যা সমাধান হয়নি। শেষে এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর বাঁ পা কেটে বাদ দিতে হয়।যদিও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বক্তব্য, তাদের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। ওই হাসপাতালের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময় কোনও সমস্যা দেখা দিলে সেই হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়।

এই যুক্তি শোনার পরে চেয়ারম্যান অসীম বন্দোপাধ্যায় বলেন, যেখানে চুক্তিবদ্ধ সেখানে অস্ত্রোপচার হওয়া উচিত। অবিলম্বে ওই সেন্টারে এইসব কাজ বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র যে বিষয় লাইসেন্স রয়েছে সেটুকুই কাজ করতে পারবে। ওপিডি, নমুনা সংগ্রহ, এন্ডোস্কোপি ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার । স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে এ বিষয়ে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। এখনও এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেয়নি স্বাস্থ্য কমিশন। দু সপ্তাহ পর মামলার শুনানি রয়েছে। তারপরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য কমিশন।

(Feed Source: hindustantimes.com)