মাঠই পাওয়া যাবে না তো কীসের ডার্বি! লক্ষ্মীপুজোয় ISL-এর মোহন-ইস্ট লড়াই অনিশ্চিত

মাঠই পাওয়া যাবে না তো কীসের ডার্বি! লক্ষ্মীপুজোয় ISL-এর মোহন-ইস্ট লড়াই অনিশ্চিত

ডুরান্ডের মঞ্চে ইতিমধ্যেই একজোড়া বড় ম্যাচের সাক্ষী থেকেছে ভারতীয় ফুটবলমহল। মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল হারিয়ে দেয় মোহনবাগানকে। ডুরান্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে বদলা নেয় মোহনবাগান। এবার আইএসএলের বড় ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও ইন্ডিয়ান সুপার লিগের কলকাতা ডার্বি নিয়ে দেখা দিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা।

আইএসএলের মোহন-ইস্ট লড়াইয়ের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ অক্টোবর। স্বাভাবিকভাবেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ম্যাচটি। তবে ওই দিন মাঠই পাওয়া যাবে না। তাহলে কীভাবে আয়োজিত হবে বড় ম্যাচ?

আসলে ২৮ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজো। তার উপর ওই দিন ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ। ইডেনের ম্যাচের সঙ্গে আইএসএলের ম্যাচ আয়োজনের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও উৎসবের মাঝে ছুটির মেজাজে থাকবে সারা বাংলা। দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত সমস্ত সরকারি দফতর বন্ধ থাকে। তাই দুই প্রধানের তরফে মাঠ চেয়ে চিঠি দেওয়া হলেও ক্রীড়া দফতরের পক্ষে দুই ক্লাবের অনুরোধে সাড়া দেওয়া সম্ভব হবে না। রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের সচিব কার্যত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ছুটির মাঝে ম্যাচ আয়োজনের জন্য যুবভারতী দেওয়া সম্ভব নয়।

শুধু মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল বড় ম্যাচই নয়, পুজোর ছুটিতে যুবভারতীতে আরও ২টি ম্যাচ ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার কথা। ২১ অক্টোবর সল্টলেকে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার কথা এফসি গোয়ার। সেই দিন আবার দুর্গাপুজোর সপ্তমী।

২৪ অক্টোবর, অর্থাৎ দুর্গাপুজোর দশমীর দিনে মোহনবাগানের মাঠে নামার কথা যুবভারতীতে। যদিও সেটি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নয়, বরং এএফসি কাপের ম্যাচ। ওই দিন বসুন্ধরার বিরুদ্ধে এএফসি কাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচ খেলার কথা সবুজ মেরুন শিবিরের। ছুটির মাঝে সেই ২টি ম্যাচ আয়োজন নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন দেখার যে, পরপর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সূচি নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কীভাবে কাটে।

আপাতত বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা লিগের আরও একটি বড় ম্যাচ। প্রিমিয়র ডিভিশনের এ-গ্রুপের ম্যাচে মহামেডানের বিরুদ্ধে মাঠে নামে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নরা। শেষ মিনিটে গোল হজম করে জয় হাতছাড়া করে মোহনবাগান। ২০ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে তারা ২-১ গোলের লিড নিয়ে নেয়। ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচে ২-২ সমতা ফেরায় মহামেডান।

(Feed Source: hindustantimes.com)