দিলীপ অনুগামীদের সরিয়ে নব্যরা এলেন বিজেপিতে
বিজেপির ১৮টি সেল ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। যাঁরা ওই সমস্ত সেলের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের ছুটি হয়ে গেল। তাঁদের পরিবর্তে সুকান্ত মজুমদার নতুনদের নিয়ে এলেন দায়িত্বে। সেইসঙ্গে পুরো কমিটিই গড়ে দিলেন নতুন করে। ফের একবার দিলীপ অনুগামীদের সরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বিজেপিতে নতুনের জয়গান গাইলেন।
বিজেপির ১৮টি সেলের কমিটিতে রদবদল
বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব থেকে দিলীপ ঘোষের অপসারণের প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত। এতদিন বিজেপির বিভিন্ন সেলে দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বা তাঁর অনুমোদিত নেতারা দায়িত্বে রয়ে গিয়েছিলেন। এবার তাঁদের সরিয়ে দিয়ে নতুনদের নিয়ে এলেন নতুন রাজ্য সভাপতি। বিজেপির ১৮টি সেলের কমিটি গড়ে উঠল নতুন করে।
দিলীপ-জমানা মুক্ত সুকান্তর বিজেপির
দিলীপ ঘোষ জমানা শেষ হওয়ার পর বিজেপিতে একে একে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামী ও অনুমোদিত নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার পালা শুরু হয়েছে। আগেই রাজ্য কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককে। এবার বিজেপির ১৮টি সেলকে দিলীপ-জমানা মুক্ত করা হল। সুকান্ত মজুমদারের আমলে এই সব সেলের বিভিন্ন নেতারা দলের বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলেন। এবার তাদের সরিয়ে দিয়ে আনা হল নতুনদের।
বিদ্রোহী নেতাদের অপসারণ, নতুনদের আগমন
দিলীপ ঘোষ জমানায় উদ্বাস্তু সেলের দায়িত্বে ছিলেন মোহিত রায়। তিনি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে বর্তমান রাজ্য কমিটিকে একহাত নিয়েছেন। রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আওয়াজ তুলেছিলেন বঙ্গ বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে এত অনীহা কেন? এরপর তিনি ক্ষোভে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল উদ্বাস্তু সেলের দায়িত্ব থেকে।
সুকৌশলে বিজেপিতে ঘটে গেল রদবদল
মোহিত রায়কে সরিয়ে উদ্বাস্তু সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারকে। তিনিও সম্প্রতি বিজেপিতে সিএএ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, তিনি যাতে আটটপকা মন্তব্য করতে না পারেন, তাঁর উপর উদ্বাস্তু সেলের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হল। সুকৌশলে এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
কাকে সরিয়ে কে এলেন বিজেপির সেলে
উদ্বাস্তু সেলের মোহিত রায় যেমন বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন, বিদ্রোহী হয়েছিলেন ট্রেড সেলের আহ্বায়ক সমীরণ সাহাও। তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই পদ থেকে। শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দীপল বিশ্বাসকে, তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অসিতকুমার মণ্ডলকে। সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে সংস্কৃতি সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুদ্রনীল ঘোষকে। সহ আহ্বায়ক করা হয়েছে কাঞ্চনা মিত্রকে। অর্থনীতি সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে। আর প্রোটোকল সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঊমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদারকে এবং বাণিজ্য শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে বৈশালী ডালমিয়াকে।
(Source: oneindia.com)