দুই মহাকাশচারী এই স্পেস ওয়াকে বেরিয়েছেন
চিনা মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এ বছরেরই শেষের দিকে মহাকাশচারীদের এই অভিযান শেষ হবে। কাই জুজে এবং চেন ডং নামে দুই মহাকাশচারী এই স্পেস ওয়াকে বেরিয়েছেন। জরুরি পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে হ্যাচ দরজা খোলার জন্য একটি হাতল ও পাম্প ইনস্টল করা হয়েছে। এছাড়া একটি ফুটস্টেপও ইনস্টল করা হয়েছে এই মহাকাশ যাত্রায়।
চিন নতুন করে মহাকাশ স্টেশন গড়ে স্পেসওয়াকে
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ব্যবহারের অধিকার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাতিল বলে গণ্য করা হয়েছিল চিনকে। তারপরই চিন নতুন করে মহাকাশ স্টেশন গড়তে শুরু করে। এই কাজে তারা সফল। এবং সেখান থেকে তারা নতুন মহাকাশ যাত্রায় বেরিয়ে পড়েছে। চিনের সামরিক বাহিনীও দেশের মহাকাশ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সোভিয়েত রাশিয়ার জায়গা নিয়েছে চিন
চিনের মহাকাশ গবেষণার উচ্চাকাঙ্খা থেকে অনেক কৌশলগত চ্যালেঞ্জ লক্ষ্য করেছেন আমেরিকান মহাকাশ সংস্থার কর্মকর্তারা। ১৯৬০-এর দশক থেকে যেমন মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন বা সোভিয়েত রাশিয়া, হালে সেই জায়গা নিয়েছে চিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে চিন।
চিন আমেরিকাকে টক্কর দিতে স্পেস ওয়াকে
চিন এখন আমেরিকার চন্দ্রাভিযানকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। চাঁদে আধিপত্য বিস্তারে উঠেপড়ে লেগেছে চিন। তারা সম্প্রতি চাঁদে রকেট নামিয়েছে। তারপরই মার্কিন সংস্থা নাসা চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। এর ফলে ৫০ বছর পর ফের মানব অভিযান শুরু হতে চলেছে। আর এখন চিন আমেরিকাকে টক্কর দিতে স্পেস ওয়াক করে চলেছে নতুন মহাকাশ স্টেশন থেকে।
তৃতৃীয় দেশ হিসেবে মহাকাশে পাঠিয়েছিল চিন
চিন জানিয়েছে, সর্বশেষ স্পেসওয়াকটি ছয় মাসের মিশনে দ্বিতীয় ছিল, যা মহাকাশ স্টেশনের সমাপ্তির তত্ত্বাবধান করবে। ক্রুর তৃতীয় সদস্য লিউ ইয়ং স্পেসওয়াকের সময় অন্য দুজনকে ভিতর থেকে সমর্থন করবে। লিউ ও চেন দু-সপ্তাহ আগে প্রথম স্পেস ওয়াক পরিচালনা করেন। এই মিশনের শেষের দিকে আরও তিনজন মহাকাশচারী তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। ফলে এই প্রথমবার স্টেশনটিতে ৬ জন যাত্রী থাকবে। ২০০৩ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে তৃতৃীয় দেশ হিসেবে মহাকাশে পাঠিয়েছিল এক মহাকাশচারীকে। তারপর চাঁদ ও মঙ্গলেও রোভার চাঁদের নমুনা পৃথিবীতেও ফিরিয়ে নিয়ে আসে।