হার্ট অ্যাটাকের আগেই মিলবে আভাস, নতুন গবেষণায় বড় সাফল্য

হার্ট অ্যাটাকের আগেই মিলবে আভাস, নতুন গবেষণায় বড় সাফল্য

#কলকাতা: আমাদের চারপাশে চোখ বোলালেই দেখতে পাবেন। গত কয়েক বছরে যেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। এমনকি, বছর পঁচিশের তরুণও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞেরা, প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতার বাড়ার মূল কারণ আমাদের জীবনযাত্রা। আমাদের খাদ্যাভ্যাস। এতদিনে এ সমস্তই আমরা কম বেশি জেনে ফেলেছি। কিন্তু এবার জানা গেল হৃদরোগের প্রবণতার আরও একটা কারণ।

সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, কোন কোন ব্যাক্তির মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি, তা লেখা থাকে তাঁদের জিন-এই। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, হার্ট অ্যাটাকের জন্য মানবকোষের ক্রোমোজোমের একাধিক জিন দায়ী। এই জিনগুলির গঠন ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে ভবিষ্যতে তা দমন করার মতো রাসায়নিকও আবিষ্কার করা যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।

হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী জিন

নিউইয়র্কের আইকান স্কুল অফ মেডিসিনের কার্ডিয়াক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় এমনই কয়েকটি জিন সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সার্কুলেশন জার্নালে প্রকাশিতও হয়েছে সেই গবেষণাপত্র। সেই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, এই আবিষ্কারের পর হৃদরোগ থেকে বাঁচতে নতুন ওষুধ তৈরি করা যাবে। গবেষক দলের প্রধান জেসন কোভাসিক বলেন, “এই গবেষণায় হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পাওয়া গেছে। আমরা প্রথমবার পেরেছি কোন বিশেষ জিন হৃদরোগের জন্য দায়ী। এছাড়া, এই জিনগুলি মানব শরীরের কোন অংশে কাজ করে তাও জানা সম্ভব হয়েছে।”

এই জিনগুলিই হৃৎপিণ্ডের ধমনী ব্লকেজের জন্য সরাসরি দায়ী বলে দাবি করছেন গবেষকেরা। এছাড়া, এই জিম লিভারেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। অর্থাৎ, কোনও ব্য়ক্তির শরীরে এই জিনগুলি সক্রিয় থাকলে তাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের ডিপোজিশনের প্রবণতা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। যার ফলেই বাড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।

জিনটি শরীরের কোন অংশে প্রভাব ফেলে তা শনাক্ত করা হয়েছে

প্রফেসর কোভাসিক জানিয়েছেন, তাঁদের তৃতীয় বড় কৃতিত্ব হল এই জিনগুলোর প্রভাব অনুযায়ী তাদের তালিকাভুক্ত করার সাফল্য। গবেষণায় জানা গিয়েছে, মানব ক্রোমোজোমে এমন ১৬২টি জিন রয়েছে যার ফলে মানবশরীরে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ে। এই তালিকার শীর্ষে থাকা জিনগুলি নিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরুর কথা ভাবছেন তাঁরা।

(Feed Source: news18.com)