ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী; জেনে রাখুন বাজেট সংক্রান্ত কিছু বিষয়!

ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী; জেনে রাখুন বাজেট সংক্রান্ত কিছু বিষয়!

#কলকাতা: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪ পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আসন্ন বাজেট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটাই ২০২৪ সালের নির্বাচনী বছরে অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারের রোডম্যাপ তৈরি করে দেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজকোষে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অর্থনীতিতে বিকাশ আনার জন্য বাজেটে পরিকাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানো হতে পারে। তার আগে দেখে নেওয়া যাক বাজেটে কোন কোন বিষয়ের উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়, জেনে নেওয়া যাক বাজেটের কিছু পরিভাষার খুঁটিনাটি।

ফিসক্যাল ডেফিসিট বা রাজকোষ ঘাটতি:

সরকারের রাজস্ব এবং ব্যয়ের মধ্যে যে শূন্য স্থান রয়েছে, তাকেই সাধারণত রাজকোষ ঘাটতি বা ফিসক্যাল ডেফিসিট হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান আর্থিক বর্ষের সরকারের জন্য এপ্রিল-নভেম্বরের ভারতের রাজকোষ ঘাটতি বা ফিসক্যাল ডেফিসিট অর্থবর্ষ২৩-এর লক্ষ্যমাত্রার ৫৮.৯ শতাংশ বিস্তৃত হয়েছে।

আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্স:

চাকরি থেকে হওয়া আয়, ব্যবসা থেকে হওয়া উপার্জন, বিনিয়োগের মাধ্যমে হওয়া আয় কিংবা সুদ থেকে হওয়া রোজগারের মতো নানা ধরনের উপার্জনের উপর যে কর বা ট্যাক্স আরোপ করা হয়, তাকেই মূলত ইনকাম ট্যাক্স বা আয়কর বলা হয়ে থাকে।

নন-প্ল্যান এক্সপেন্ডিচার বা পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়:

বাজেটের মধ্য অন্তর্ভুক্ত নয়, সরকারের এমন সমস্ত খরচকেই মূলত কভার করে নন-প্ল্যান এক্সপেন্ডিচার বা পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়।

পরিকল্পনা ব্যয় বা প্ল্যান আউটলে:

প্ল্যান আউটলে হল সেই পরিমাণ খরচ, যা বিভিন্ন প্রকল্পস স্কিম এবং প্রোগ্রামের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। আর এই বিষয়টা কিন্তু বাজেটে ঘোষণা করা হয়ে থাকে। প্ল্যান আউটলে-র জন্য অনুমোদিত টাকা কিন্তু তোলা হয় বাজেটের সহায়তা এবং অতিরিক্ত বাজেট সংক্রান্ত উৎসের মাধ্যমে।

পরিকল্পনা মাফিক ব্যয় বা প্ল্যানড এক্সপেন্ডিচার:

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা বা অর্থ অনুমোদন করা হয়, তাকে মূলত প্ল্যানড এক্সপেন্ডিচার বা পরিকল্পনা মাফিক ব্যয় বা প্ল্যানড এক্সপেন্ডিচার বলা হয়। এই ধরনের ব্যয় সাধারণত করা হয় উন্নয়নমূলক কাজে। শুধু তা-ই নয়, বাজেটে উল্লিখিত বিভিন্ন স্কিমের উপরেও এই ব্যয় করা হয়ে থাকে।

প্রাথমিক ঘাটতি বা প্রাইমারি ডেফিসিট:

ফিসক্যাল ডেফিসিট থেকে ইন্টারেস্ট পেমেন্ট বাদ দিলে যে পরিমাণ হয়, সেটাকেই মূলত প্রাইমারি ডেফিসিট বা প্রাথমিক ঘাটতি হিসেবে গণ্য করা হয়। ইন্টারেস্ট পেমেন্টের মতো খরচ ছাড়াও অন্যান্য খরচ পরিশোধ করার জন্য সরকার কত পরিমাণ ধার নেবে, সেটাই ইঙ্গিত করে প্রাইমারি ডেফিসিট।

রাজস্ব ঘাটতি বা রেভেনিউ ডেফিসিট:

রাজস্ব খরচ বা রেভেনিউ এক্সপেন্ডিচার এবং রাজস্ব প্রাপ্তি বা রেভেনিউ রিসিটের যে পার্থক্য থাকে, সেটাই রাজস্ব ঘাটতি বা রেভেনিউ ডেফিসিট নামে পরিচিত।

রেভেনিউ বাজেট বা রাজস্ব বাজেট:

রেভেনিউ বাজেটের মধ্যে পড়ছে সরকার দ্বারা গৃহীত রেভেনিউ রিসিট বা রাজস্ব রসিদ এবং সেই রাজস্ব থেকে মেটানো ব্য়য়। সরকার যে ট্যাক্স বা কর এবং অন্যান্য যা কিছু সংগ্রহ করে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রাজস্ব রেভেনিউ বা ট্যাক্স রেভেনিউ।

রেভেনিউ রসিদ বা রেভেনিউ রিসিট:

রেভেনিউ রিসিটের মধ্যে পড়ে সরকার দ্বারা গৃহীত ট্যাক্স বা কর। শুধু তা-ই নয়, এর মধ্যে পড়বে সরকার দ্বারা গৃহীত রিসিটও। যা সরকার কর্তৃক করা বিনিয়োগের উপর সুদ এবং লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড, ফি এবং সরকার দ্বারা প্রদত্ত পরিষেবাগুলির জন্য অন্যান্য রিসিট দ্বারা গঠিত।

রাজস্ব ব্যয় বা রেভেনিউ এক্সপেন্ডিচার:

সরকারের বিভিন্ন দফতর এবং নানা ধরনের পরিষেবা সাধারণ ভাবে চালানোর জন্য, সরকারের দ্বারা নেওয়া ঋণের উপর নির্ধারিত সুদ, ভর্তুকি ইত্যাদির জন্যই রয়েছে রাজস্ব ব্য় বা রেভেনিউ এক্সপেন্ডিচার।

(Feed Source: news18.com)