সাসপেন্ড দুই সিবিআই আধিকারিক দুই কনস্টেবল, লালন শেখ হত্যায় জারি তদন্ত

সাসপেন্ড দুই সিবিআই আধিকারিক দুই কনস্টেবল, লালন শেখ হত্যায় জারি তদন্ত

বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল। এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল চারজন সিবিআই আধিকারিককে। তাঁদের মধ্যে দু’‌জন তদন্তকারী আধিকারিক এবং বাকি দু’জন কনস্টেবল। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। বগটুই গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল লালন শেখ। তাকে হেফাজতে নিয়ে অত্যাচার করে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তার স্ত্রী রেশমা বিবি। তারপর থেকেই তোলপাড় হয় রাজ্য–রাজনীতি।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের মুখ পুড়েছে। এই নিয়ে সিআইডি চাপ তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপর। বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে রাজ্যের মানুষ শিউরে উঠেছিল। ১০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সেই তদন্তে রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না করে সিবিআইকে তদন্ত করতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখেরই সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল। তাতে তদন্ত ধাক্কা খেল। এই অবস্থায় মুখ বাঁচাতেই দুই অফিসারকে সিবিআই সাসপেন্ড করল।

সিবিআই থেকে কী জানা যাচ্ছে?‌ সিবিআই সূত্রে খবর, সাসপেন্ড হওয়া দুই সিবিআই অফিসার হলেন রাহুল প্রিয়দর্শী এবং বিলাস মধঘুট। লালনের সেলের পাহাড়ায় ছিলেন যে দুই পুলিশ কনস্টেবল তাঁদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্তকারী দুই অফিসার যখন রামপুরহাট আদালতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁদেরকে পাহাড়ায় রাখা হয়েছিল। তাঁদের উপস্থিতি সত্ত্বেও লালন শেখ কীভাবে বাথরুমে ঝুলে পড়ে আত্মহত্যা করার সুযোগ পেল?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য চেয়েছিল রাজ্যের গোয়েন্দারা। সেখানে সিবিআই নিজেই চারজনকে সাসপেন্ড করে দেওয়ায় সিআইডির দাবিতে সিলমোহর পড়ল। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাফিলতি ছিল সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল। আর সেটা ঢাকতেই এই সাসপেন্ড বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও লালনের পরিবারের অভিযোগ, তাকে হেফাজতে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে তাঁরা। ১২ ডিসেম্বর লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয়। তার প্রেক্ষিতেই পরিবারের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। তদন্তভার নেয় সিআইডি।

(Feed Source: hindustantimes.com)