লাভই লাভ! বিকল্প আয়ের সন্ধানে মুক্তো চাষ, কম বিনিয়োগে বিরাট আয়

লাভই লাভ! বিকল্প আয়ের সন্ধানে মুক্তো চাষ, কম বিনিয়োগে বিরাট আয়

মুর্শিদাবাদঃ নবাব নগরী মুর্শিদাবাদ জেলা, আর সেই জেলাতে চলছে মুক্তো চাষ। আর সেই মুক্তো চাষে অন্যান্য চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে পরিদর্শন করানো হল অন্যান্য চাষীদের।

মুক্তো-কে ইংরেজিতে Pearl বলা হয়। ঝিনুকের মধ্যেকার রত্ন মুক্তো। অন্য নাম মোতি। আঞ্চলিক ভাষায় অনেক সময় মুক্তোকে মুক্তা বা মুকুতা নামেও ডাকা হয়। মুক্তা এক ধরনের শম্বুক জাতীয় প্রাণি। ঝিনুকের মাধ্যমে তৈরী হয়। এটি দেখতে ছোট এবং সাদা রঙের। তবে কখনও কখনও পাণ্ডুর বা ফ্যাকাশে রঙ-সহ কালো রঙেরও হতে পারে। যা সাধারণত মোতি হয় গোলাকৃতির। এ ছাড়া, অর্ধ-গোলাকার, ডিম্বাকৃতি কিংবা অন্য যে-কোনও আকৃতির হতে পারে। অলঙ্কার জগতে মুক্তোর অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। জুন মাসে জন্মগ্রহণকারী জাতকগণ জন্মপাথররূপে মুক্তো ধারণ করে থাকেন।

মুক্তো, মোতি, সাধারণ একটি খোসায় একটি কালো মুক্তো প্রকারভেদ। ঝিনুকের খোলকের অভ্যন্তরে তৈরী মুক্তোয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট মুক্তা তৈরী হয় যা স্তরের কেন্দ্রে সংরক্ষিত থাকে। আদর্শ মুক্তো গোলাকার ও মসৃণ। ব্যারোক পার্লজাতীয় মুক্তো বিভিন্ন আকার ও আকৃতির হয়ে থাকে। চমকপ্রদ, মনোলোভা, সুন্দর ও উচ্চ মূল্যমানের মুক্তো সৌন্দর্যপিপাসুদের কাছে শত শত বছর ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ কারণেই মুক্তো একসময় অলঙ্কারে স্থান করে নেয়। তন্মধ্যে বেশ কিছু মুক্তো অত্যন্ত দুর্লভ, চমৎকার, প্রশংসনীয় এবং অতীব মূল্যমানের। মুক্তো প্রাকৃতিক মুক্তো, যা সমুদ্র বা নদী কৃত্রিম মুক্তো। চাষের মুক্তো হিসেবে পরিচিত।

স্পেনের সৈনিকেরা পশ্চিম গোলার্ধের কিউবাগুয়া এবং আইলা মার্গারিটা দ্বীপপুঞ্জ দখল করে। ভেনেজুয়েলা উপত্যকার ২০০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে মুক্তোর বৃহৎ খনির সন্ধান পায়। লা পেরেগরিনা পার্ল নামীয় একজন আবিস্কারক স্পেনের রানিকে তা দেওয়ার প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। আর এই মুক্তো-কে ফের সামনে আনছেন মুর্শিদাবাদের আশেম শেখ। মুক্তো চাষি আসেম শেখ জানায়, এক সময় মুর্শিদাবাদের মোতিঝিলে মুক্তো চাষ হতো এবং তিনি কোনও কারণে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন এবং সেখানেই এক ব্যক্তির কাছে এই মুক্তো চাষের কথা শুনেন। তারপরেই তিনি শুরু করেন, পুনরায় মুর্শিদাবাদের মুক্তো চাষ।

তিনি জানান, তিনি বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ট্রেনিং দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন এই চাষে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দেশ এবং বিদেশের চাহিদা রয়েছে। তাই বেকার ছাত্রছাত্রী ও বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য ভাল। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন আসেম শেখ। এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সাহায্য পাননি, জানিয়েছেন আসেম। এই চাষ মূলত ট্যাঙ্কে ও পুকুরে করা হয়। মাছের সঙ্গেই চাষ হয়। মুক্তো চাষি আসেম শেখ বর্তমানে বিনা পয়সায় দেড়শ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ফলে বর্তমানে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এই মুক্তো চাষকে।

(Feed Source: news18.com)