কী হচ্ছে হোটেলের ঘরে? দরজা ঠেলে ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! জালে ৮

কী হচ্ছে হোটেলের ঘরে? দরজা ঠেলে ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! জালে ৮

শিলিগুড়ি: ছুটির দিনে শিলিগুড়ি শহরের রাত্রি হয়ে ওঠে রঙিন। এই ঠান্ডার রাতে শিলিগুড়িকে উত্তপ্ত করছে রাজ্যের বাইরে থেকে আসা আগতরা। রাতে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সাজানো হয় মেয়েদের বাজার। এরপর হোটেলগুলিতে চলে দেহ ব্যবসা। রবিবার রাতে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনারর পর্দা ফাঁস করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিডি, এসওজি-সহ প্রধান নগর থানার পুলিশ শিলিগুড়ির শালবাড়ি এলাকায় অবস্থিত তিনটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এই দেহ ব্যবসার পর্দা ফাস করল। হোটেলগুলি থেকে ৪ যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হল, উমেশ আগরওয়াল, অরবিন্দ পতি তিওয়ারি, দীপক শর্মা, ভেঙ্কটেশ কুমার চন্দক, রবি কুমার গুড্ডু, গৌতম কুমার, অলক রাজ ও দীপক কুমার। জানা গিয়েছে, উমেশ আগরওয়াল শিলিগুড়িতে এই ব্যবসার মাস্টার মাইন্ড।

.উমেশ বাইরের রাজ্য থেকে আসা গ্রাহকদের মোবাইলের মাধ্যমে মেয়েদের ছবি পাঠাতেন। দরদাম করে সেখানে চাহিদা মতো মেয়েদের পাঠাতেন। এর জন্য নেওয়া হত মোটা অঙ্কের টাকা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিশেষ করে সপ্তাহের দু’টি ছুটির দিন, শনি ও রবিবার শিলিগুড়ির বিভিন্ন হোটেলে চলত রমরমিয়ে দেহব্যবসা।

সেই মতো শনিবারও, হাওড়া ও বিহার থেকে আসা সাতজনের জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রধান নগর থানার অন্তর্গত শালবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি হোটেলে সাতজনের জন্য একটি রুম বুকিং করে ৪ যুবতীকে সেখানে পাঠানো হয়। এই খবর পাওয়া মাত্রই এসওজি, ডিডি এবং প্রধান নগর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই গোটা ব্যবসার পর্দা ফাঁস করে। ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড উমেশ আগরওয়ালকেও গ্রেফতার করা হয়। প্রধান নগর থানার পুলিশ মাস্টার মাইন্ড উমেশ আগরওয়াল-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে রবিবার তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করেছে। অভিযুক্তদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

(Feed Source: news18.com)