চীনের কাছ থেকে ধাক্কা পেল দারিদ্র্যপীড়িত পাকিস্তান! ৭২ ঘণ্টায় ৫০ কোটি টাকা দিতে হবে, মাথা ধরে বসে আছেন শাহবাজ

চীনের কাছ থেকে ধাক্কা পেল দারিদ্র্যপীড়িত পাকিস্তান!  ৭২ ঘণ্টায় ৫০ কোটি টাকা দিতে হবে, মাথা ধরে বসে আছেন শাহবাজ
ছবি সূত্র: ফাইল ছবি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্র সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণ তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু চীনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে পরিশোধ করা হবে। এ কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চার বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে যাবে। এর পাশাপাশি এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সাহায্যের তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, চীনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে 300 মিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। চীনা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের পর এই সপ্তাহের শেষ নাগাদ দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

আগামী ৭২ ঘণ্টা পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পাকিস্তানকে তিন বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে চীনের একটি বড় অংশও। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমেদের একটি বিবৃতিও কিছুটা আশার আলো। আহমেদ জানিয়েছেন, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ করা হবে। এটি আপাতত দেশকে দারিদ্র্যের হাত থেকে রক্ষা করেছে। এখন তিন বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে হচ্ছে দেশকে। চলতি অর্থবছরের বাকি সময়েও এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টা পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কি বলল কেন্দ্রীয় ব্যাংক?

সোমবার দেশটির মুদ্রানীতির এ তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে দেশের ৩৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এর মধ্যে 10 বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব ঘাটতি এবং 23 বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আগামী পাঁচ মাসে আট বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। গভর্নর জামিল আহমেদের মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিদেশী সাহায্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কিছু সাহায্য করা হবে।

কাতার যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার

এসবের মধ্যেই কাতারের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। তাদের উদ্দেশ্য হল কৌশলগত বিক্রয়ে উপসাগরীয় দেশগুলির আগ্রহের পরিমাপ করা। তহবিল সংগ্রহের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের দাম কী হবে তা পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত বছরের এপ্রিলে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পরও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

(Feed Source: indiatv.in)