ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আসছে পঞ্চায়েত ভোট। চড়ছে রাজনীতির পারদ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গতবারের থেকে এবার কয়েকগুণ বেশি আসন পাব।’ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘২০১৮ সালে প্রায় ৬ হাজার সদস্য পেয়েছি। এবার কয়েকগুণ বেশি পাব। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হলে জেলা পরিষদও পাব।’’
ক’মাস পরেই বঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামের ভোট। তার আগে তাল ঠুকছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে অশান্তির অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এবার কী হবে। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুর বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায়। গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ১৯ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি। জেলা পরিষদের ২২টি আসনে জেতে। পঞ্চায়েত সমিতির ৭৬০টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ হাজার ৭৭৬টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি।
আরও পড়ুন- ‘মা দুর্গা ও নারী শক্তির ক্ষমতায়ন…’ দিল্লির কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলার ট্যাবলো
সবথেকে ভাল ফল করে ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে। আবারও সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এবার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব পদ্ম শিবির। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আমরা কোর্টে গিয়েছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করাবেন না চৌকিদার দিয়ে করাবেন সেটা কমিশনের ব্যাপার। প্রতিবার পুলিশ দিয়ে ভোট হয়। সন্ত্রাস হয়। প্রাণ যায়। কে দায় নেবে? চৌকিদার দিয়ে ভোট করান, কিন্তু কারও প্রাণ যেন না যায়।’’ পঞ্চায়েতে ভাল ফল করতে ইতিমধ্যেই একাধিক কৌশল নিয়েছে পদ্ম শিবির। গ্রামীন বিধানসভাগুলিতে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।
বিশেষ নজর সীমান্তবর্তী এলাকায়। একই সঙ্গে চলছে মুসলিমদের মন জয়ের চেষ্টাও। নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার কলকাতায় পথে নামে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। এ রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, এই অভিযোগকে অস্ত্র করে আগামী দিনেও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চলেছে পদ্ম ব্রিগেড। তবে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সুকান্ত মজুমদারের ‘ বহুগুণ’ বেশি আসন পাওয়ার চ্যালেঞ্জ কতটা বাস্তবায়িত হয়, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।