সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: পঞ্চায়েতের আগেই ওবিসি পড়ুয়াদের বৃত্তি পাঠাতে তৎপর রাজ্য। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার মেধাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা যাতে ওবিসি পড়ুয়াদের কাছে চলে যায়, তা নিয়ে বিশেষভাবে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি ‘মেধাশ্রী’ আগেই বন্ধ করেছে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার নিজের অর্থেই এই বৃত্তি চালু রাখার সিদ্ধন্তের কথা ঘোষণা করেছে। গত সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই সময় নষ্ট করতে নারাজ সরকার। রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে পাঠরত ওবিসি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বৃত্তি পৌঁছে দিতে ১৫ দিনের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। নতুন আর্থিক বছরই এই প্রকল্পের বৃত্তি দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক মহলের বাখ্যা, একমাত্র পঞ্চায়েত ভোটেই তফশিলি জাতি ও আদিবাসী ছাড়াও ওবিসিদের আসন সংরক্ষণের কথা আইনে বলা রয়েছে। জনসংখ্যার নিরীখে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে অনেকটা আসনই রয়েছে ওবিসি মানুষের জন্য সংরক্ষিত। রাজ্যে সংখ্যালঘু মানুষও ওবিসি তালিকাভুক্ত। অমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকার নানা কৌশলে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখায় রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজ প্রায় বন্ধ হতে বসেছে।
শুক্রবারই নবান্ন জেলাশাসকদের কাছে এই বার্তা দিয়েছে। অনগ্রসর কল্যান দফতর থেকে বৃহস্পতিবার ‘মেধাশ্রী’ প্রকল্পের গাইডলাইন-সহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে,পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণির ওবিসি পরিবারের পড়ুয়ারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে ৮০০ টাকা বৃত্তি পাবে। বেসরকারি স্কুল ও নাইট স্কুলের ওবিসি পড়ুয়ারা এই সুবিধা পাবে না। এর জন্য জেলার স্কুল পরিদর্শক বা অতিরিক্ত পরিদর্শকদের প্রতিটি স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত শিক্ষাশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে ওবিসি পড়ুয়াদের কাছে থেকে আবেদন সংগ্রহ করে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা পোর্টালে এই আবেদনগুলি পরীক্ষা করে আপলোড করে দেবে। অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের গাইড লাইন অনুযায়ী বৃত্তি প্রাপক পড়ুয়ার পরিবারের সর্বোচ্চ বার্ষিক আয় বছরে আড়াই লক্ষ টাকা হতে হবে।