সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে অফিসের ১২তলা থেকে ঝাঁপ আইটি তরুণীর, সব শেষ…

সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে অফিসের ১২তলা থেকে ঝাঁপ আইটি তরুণীর, সব শেষ…

কলকাতার সেক্টর ফাইভে ভয়াবহ ঘটনা। ১২ তলা থেকে ঝাঁপ তথ্য প্রযুক্তি কর্মী এক তরুণীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেক্টর ফাইভে তাঁর অফিস বিল্ডিংয়ের ১২ তলা থেকে তিনি ঝাঁপ দেন বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতের নাম ঐশ্বর্য্য শর্মা।সূত্রের খবর, এদিন তিনি অফিসে এসেছিলেন। এরপর তিনি মাঝখানে বেরিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা গিয়েছিলেন। পরে ফিরেও আসেন। আর তারপরই এই ভয়াবহ পরিণতি। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।

পুলিশ জানিয়েছে, কর্মস্থলে ঐশ্বর্যের কিছু সমস্যা ছিল। তার বাবা মাঝেমধ্যেই আসতেন। এদিনও তাঁর বাবা এসেছিলেন। বাবা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই ১২ তলায় উঠে যান তিনি। এরপর তিনি ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। মানসিক অবসাদ ছিল আমরা জানতে পেরেছি।

তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিধাননগর সাবডিভিশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, তিনি আদপে অসমের শিলচরের বাসিন্দা। তিনি রাজারহাটের লাউহাটিতে একটি হাউজিং সোসাইটিতে থাকতেন। কিছুটা অবসাদে ভুগছিলেন। বেঙ্গালুরুতে তার চিকিৎসাও চলছিল।

এদিকে পুলিশ তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে তিনি এই কাণ্ড ঘটালেন তা দেখা হচ্ছে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে অনেকের মতে চারদিকে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তারপরেও কেন তরুণীর গতিবিধির উপর নজর রাখা হল না? তবে ওই আইটি কর্মীর সঙ্গে কর্মস্থলে কোনও অত্যাচার করা হত কি না, কী ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিল, কেউ আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল কি না সবটাই দেখছে পুলিশ।

এদিকে গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত তাঁর সহকর্মীরা। আচমকা এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। ঘটনার আগে তিনি কোন পরিস্থিতিতে ছিলেন, কেন তিনি এমন গভীর অবসাদে ভুগতেন, এনিয়ে জোর চর্চা চলছে কলকাতার আইটি পাড়ায়। তবে সহকর্মীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি একেবারেই মানতে পারছেন না তাঁরা। এদিকে ঐশ্বর্যর এই পরিণতিতে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।

(Feed Source: hindustantimes.com)