নতুন দিল্লি. পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী মুসলিম শেখ রশিদকে নিয়ে এমনই খবর বেরিয়েছে, যা শুনে আপনি হাসি থামাতে পারবেন না। বালাকোটে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর চিৎকার করেছিলেন একই পাকিস্তানি নেতা। শেখ রশিদ বলেছিলেন, আমাদের কাছে পারমাণবিক বোমা আছে এবং সেগুলো দিয়ে ভারতে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু এখন এই প্রাক্তন মন্ত্রী এতটাই আতঙ্কিত যে তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে’। প্রকৃতপক্ষে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যার জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মুসলিম শেখকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাকে প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নমুনা দিতে বলা হলেও তিনি খুব ভয় পেয়ে বলেন, আমি প্রস্রাব না করলে নমুনা দেব কিভাবে। শেখ রশিদের এই জবাব শুনে পুলিশও অবাক।
শেখ রশিদকে ইমরান খানের খুব কাছের বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি এক সমাবেশে ইমরান খানের ওপর ঘাতক হামলার সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তান পুলিশের দাবি, প্রাক্তন মন্ত্রী যখন ধরা পড়েন তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মদও জব্দ করা হয়েছে। তবে পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ রাশেদ। তাই সত্যতা জানতে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে প্রস্রাবের নমুনা দিতে বলে। যাতে অ্যালকোহল গ্রহণ করা বা না নেওয়ার পরীক্ষাটি জানা যায়। তবে সাবেক মন্ত্রীকে এ সময় বেশ ভীত ও নার্ভাস দেখাচ্ছিল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে বলতে দেখা যায়, তিনি প্রস্রাব না করলে নমুনা দেবেন কী করে।
শেখ কি সত্যিই মাতাল
প্রাক্তন মন্ত্রীর প্রস্রাবের নমুনা দিতে অস্বীকৃতি আরও জোরদার করে যে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তখন তিনি পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে অস্বীকার করেন। তাকে গ্রেফতার করা মাত্রই শেখের আস্ফালন পুলিশ সরিয়ে দেয়। সে নিশ্চয়ই ভয় পাচ্ছে যে নমুনা দেওয়ার পর প্রমাণ হবে যে তিনি মদ খেয়েছিলেন। এর পর শেখ রশিদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফাঁস লাগতে পারত। এ কারণেই পাল্টা আঘাত করেছেন সাবেক মন্ত্রী। শেখ রশিদই ইমরান সরকারের মন্ত্রী থাকাকালীন ভারতে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এখন দেখুন নিজ দেশের পুলিশের খপ্পরে এসে তাদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। ইমরান ও শেখ রশিদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার রাজনৈতিক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে ইমরানের আরেক মন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
(Feed Source: indiatv.in)