বাংলাদেশে একযোগে 14টি হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা থামছে না

বাংলাদেশে একযোগে 14টি হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা থামছে না
ছবির সূত্র: FILE
বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ভাংচুর (ফাইল)

নতুন দিল্লি. বাংলাদেশে হিন্দু ও তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের উপর অত্যাচার থামার নামই নিচ্ছে না। শনিবার রাতে একের পর এক হামলায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১৪টি হিন্দু মন্দির ভাংচুর করেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন নেতা বিদ্যানাথ বর্মণ বলেছেন, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা রাতে হামলা চালিয়ে ১৪টি মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করেছে, পুলিশ রোববার জানিয়েছে। বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে হিন্দু ও তাদের ধর্মীয় স্থানগুলোকে টার্গেট করা হচ্ছে।

প্রতিমা ভেঙ্গে পুকুরে ফেলে দেয়

উপজেলা পূজা অনুষ্ঠান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বর্মণ জানান, কিছু প্রতিমা মন্দিরেই ধ্বংস করা হয়েছে, কিছু মন্দিরের পাশের পুকুরে পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, অপরাধীদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি, তবে আমরা চাই তাদের দ্রুত ধরা পড়ুক। কারণ “এ ধরনের জঘন্য ঘটনা আগে এখানে ঘটেনি।” তিনি বলেন, “আমাদের (হিন্দুদের) সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো বিরোধ নেই। ) আক্রমণকারী সংখ্যায় অনেক হতে পারে।

লক্ষ্যবস্তু হামলায় সরকার সিরিয়াস নয়
এর আগেও হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানকে টার্গেট করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দুদের ওপরও হামলা হচ্ছে। কে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, শনিবার রাতে ও রবিবার ভোরে কয়েকটি গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে বলে সমর চ্যাটার্জি জানান। ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিঘ্নিত করতে পরিকল্পিত হামলা বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক বা প্রশাসনিক প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, “মামলাটি শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে এবং এটি একটি গুরুতর অপরাধ। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(Feed Source: indiatv.in)