গ্যাসের ভর্তুকি দেওয়ার নাম করে এসেছিল ফোন, তারপর যা ঘটল!

গ্যাসের ভর্তুকি দেওয়ার নাম করে এসেছিল ফোন, তারপর যা ঘটল!

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: আবারও ফোন করে সব তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিল দুষ্কৃতীরা। গ্যাসের ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন করেছিল প্রতারকরা। টাকা ঢোকানোর কথা বলে সব তথ্য নিয়ে নেয় তারা। এরপরই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বর্ধমানের গলসিতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতারিত ব্যক্তি এ ব্যাপারে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

গ্যাসের ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড অর্থাৎ ওটিপি হাতিয়ে নিয়ে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে দু’দফায় কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। গলসির ঢোলা গ্রামের এই বাসিন্দা এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। রিয়াসত আলি শেখ নামে ওই ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেছেন।

ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ৫ হাজার, পরে আরও বেশি টাকা তুলে নিয়েছে প্রতারকেরা। তাঁর অভিযোগ, সপ্তাহ খানেক আগে একটি ফোন পাই। এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গ্যাস সংস্থার নাম করে জানানো হয় আমার গ্যাসের ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে, সেটি জানালে ভর্তুকির টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়া হবে। ওটিপি বলে দিতেই পরপর দু’বার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকেরা টাকা হাতিয়ে নেয়।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরেই গ্যাসের ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য জেনে নিয়ে বা শুধুই ওটিপি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসছে। কালনা, মন্তেশ্বরে এই ধরণের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এবার গলসিতেও এমন অভিযোগ মিলল। অজানা ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না দেওয়ার ব্যাপারে বাসিন্দাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার সচেতন করা হচ্ছে। তবুও বাসিন্দাদের একাংশ সেসব তথ্য দিয়ে ফেলছেন। তার সুযোগ নিচ্ছে প্রতারকরা। তবে এই প্রতারণা চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এ ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে।

(Feed Source: news18.com)