নতুন দিল্লি:
সোমবার তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং কয়েকবার পৃথিবী কেঁপে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সর্বত্র বিধ্বংসী দৃশ্য। মৃতদেহগুলো ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে ভবনগুলো। যার জেরে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মারা গেছে বহু মানুষ। তাপমাত্রা কম থাকায় উদ্ধারকাজেও সমস্যা হচ্ছে। স্থাপত্য ইতিহাসের পণ্ডিত কুবরা হালিসি ইস্তাম্বুল থেকে এ তথ্য দিয়েছেন। তীব্র শীতের মধ্যেও তুরস্কে তুষারপাত হচ্ছে। অনেক শহরে তাপমাত্রা ৯ থেকে মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে মানুষ হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
পিটিআই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কুবরা হালিসি পর্যন্ত পৌঁছেছিল। ইস্তাম্বুলের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কুবরা হালিসি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, “ভূমিকম্পের পর বিপুল সংখ্যক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাকে শেল্টার হোমে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তুর্কি নাগরিক বলেছেন, “যদিও আমরা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে দূরে ছিলাম, তবুও আমরা বেশ কয়েকটি কম্পন অনুভব করেছি।”
আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদে আছি, কিন্তু আমার দেশ টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। সর্বত্র ধ্বংসই ধ্বংস। ভূমিকম্পে ১০টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আমরা শুধু মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য দেখছি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাড়ি-ঘর। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে অনেক মানুষ।”
সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে। তিনি বলেন, “আমরা এমন অনেক লোককে চিনি যারা তাদের পরিবারের কাছে যেতে পারছে না কারণ দেশটিতে 7.8 মাত্রার একটি বিশাল ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর ৭.৫ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি অনেক দেশ আমাদের সাহায্য করছে।
ভারত মঙ্গলবার চারটি C-17 গ্লোবমাস্টার সামরিক পরিবহন বিমানের মাধ্যমে তুরস্কে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। ভারত সেখানে একটি মোবাইল হাসপাতাল এবং একটি বিশেষ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলও পাঠিয়েছে। ভারত বুধবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ছয় টন ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেছে।
(Feed Source: ndtv.com)