আদানি ডুবলে কি এলআইসি-রও ভরাডুবি? কী হবে জমানো টাকার, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

আদানি ডুবলে কি এলআইসি-রও ভরাডুবি? কী হবে জমানো টাকার, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

কলকাতা: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জেরে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দামে ধস নেমেছে৷ আদানিদের নিয়ে এই ডামাডোলের মধ্যেই এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র ভবিষ্যৎ নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ কারণ এসবিআই এবং এলআইসি- দুই সংস্থাই আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল৷ ফলে আদানিদের সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হলে এলআইসি, এসবিআই-ও বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা৷ এমন কি, জীবন বিমা নিগম এবং স্টেট ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করা সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে৷

আদানিদের সংস্থায় এলআইসি-র প্রায় তিরিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে৷ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য দাবি করছেন, আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে যতই ধস নামুক না কেন, আদানিদের সংস্থায় করা বিনিয়োগ থেকে মোটা লাভের অঙ্ক ঘরে তুলেছে জীবন বিমা নিগম৷

অন্যদিকে, এসবিআই-ও জানিয়ে দিয়েছে, আদানিদের সংস্থায় তারা যে টাকা ঢেলেছে, তা আগামী ৯ থেকে ১০ মাসের মধ্যেই উঠে আসবে৷ কারণ আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগের উপরে ১০ শতাংশ হারে লাভ পাচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক৷

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এলআইসি-র হাতে এই মুহূর্তে ২৬ হাজার কোটি টাকা নগদ রয়েছে৷ অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ২৬ হাজার কোটি টাকা ফেরানোর দায় রয়েছে এলআইসি-র উপরে৷ ফলে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জেরে আদানিদের সংস্থার ভরাডুবি হলেও এলআইসি নিজের হাতে টাকা নগদ দিয়েই সাধারণ মানুষের যাবতীয় পাওনা গণ্ডা ফিরিয়ে দিতে পারবে৷

স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্ট-এর হেড অফ রিসার্চ সন্তোষ মিনা দ্য মিন্ট-কে জানিয়েছেন, ‘আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগ থাকলেও এলআইসি এবং এসবিআই-এর গ্রাহকদের চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই৷ এসবিআই বাজারে যা ঋণ দিয়েছে, আদানিদের সংস্থায় তার মাত্র ০.৮৮ শতাংশ দিয়েছে তারা৷ এর বিনিময়ে সংস্থার ঘরে মোটা টাকাও ঢুকছে৷’

প্রফিটমার্ট সিকিউরিটিজ-এর হেড অফ রিসার্চ অবিনাশ গোরাখসকার বলেন, ‘এলআইসি জানিয়ে দিয়েছে আদানিদের সংস্থায় তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা৷ এবং এই বিনিয়োগের ফলে এলআইসি-র হাতে থাকা শেয়ারের মূল্য ৪০ হাজার কোটি টাকা৷ ফলে নিজেদের বিনিয়োগের উপরে এক তৃতীয়াংশ লাভ নিয়ে বসে রয়েছে৷ এর পরেও আদানিদের শেয়ার মূল্যের পতন চলতে থাকলেও নিজেদের হাতে থাকা ২৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েই বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দিতে পারবে এলআইসি৷ কারণ বিনিয়োগকারীদের সব প্রাপ্য ফেরাতে হলেও এলআইসি-র প্রয়োজন ২১ হাজার কোটি টাকা৷ ফলে আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগ করা অর্থের শেয়ার মূল্য শূন্যে নেমে আসলেও এলআইসি-র হাতে উদ্বৃত্ত হিসেবে ৪৫০০ হাজার কোটি টাকা থাকবে৷’

(Feed Source: news18.com)