রাজ্যে গ্রুপ–ডি পদে ২,৫২০ শূন্যপদে নিয়োগ, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

রাজ্যে গ্রুপ–ডি পদে ২,৫২০ শূন্যপদে নিয়োগ, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

আজ, শুক্রবার বেআইনিভাবে নিয়োগের জেরে ১,৯১১ জন গ্রুপ–ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে খুশির খবর হল, ২ হাজার ৫২০ জনকে গ্রুপ–ডি কর্মী হিসেবে নিয়োগের নির্দেশও আজ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি এদিন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছিল।’‌ শুক্রবারের মধ্যেই চাকরি বাতিল করা হবে বলে মন্তব্য় করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতো আজ চাকরি বাতিল করা হল।

কেমন করে নিয়োগ হবে?‌ শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য এসএসসি’‌কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। তবে যদি তাঁদের কারও ওএমআর শিট বিকৃত থাকে তাহলে তাঁরা গ্রাহ্য হবে না। অনিয়মের জন্য যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে সেখানেই নিয়োগের কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ইন্টারভিউ করে সুপারিশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে এই নিয়োগ শেষ করতে হবে। ১৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিন এসএসসি এবং বোর্ডকে নিয়োগ প্রসঙ্গে করা পদক্ষেপ জানাতে হবে আদালতে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আজ, শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতে স্বীকার করে নেন, ১,৯১১ জন গ্ৰুপ–ডি প্রার্থীকে বেনিয়মে নিয়োগ করা হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, তখন এসএসসি’‌র চেয়ারম্যান কে ছিলেন?‌ এসএসসি’‌র আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তখন গ্রুপ–ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর নিয়োগ দুর্নীতি কার কথায় হয়েছে তা জানাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার বিচারপতি বলেন, ‘‌আদালতের সামনে মুখ খোলা নিয়ে যদি সুবীরেশ ভীত থাকেন সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে আদালত।’‌

স্কুল সার্ভিস কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে, ওই সব প্রার্থীর উত্তরপত্রে কারচুপি করে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। আর তখনই মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীদের আইন মেনে অবিলম্বে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৪ মার্চ আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)