দাদা-বৌদির ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিহত ভাই, জামুড়িয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য

দাদা-বৌদির ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিহত ভাই, জামুড়িয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য

কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: দাদা-বৌদির সাংসারিক ঝামেলা (family problem) মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের (brother death)। দাদার গুলিতে নিহত ভাই। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমানের (Pashchim Bardhaman) জামুড়িয়ায়। খুনে অভিযুক্ত দাদাকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার (arrested) করেছে পুলিশ।

পারিবারিক ঝামেলায় মৃত ভাই

উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর, পুরুলিয়ার আদ্রা, নদিয়ার নাকাশিপাড়ার পর এবার পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া। ফের শ্যুটআউট রাজ্যে। দাদা-বৌদির মধ্যে ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিহত ভাই। রাগের মাথায় ভাইকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনায় হতভম্ব পরিবার। পরিবারে কান্নার রোল। অভিযুক্ত দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি তথাগত পাণ্ডে বলেন, ‘ঝগড়া হয়েছে। পারিবারিক বিবাদ। এক বাড়িতে সবাই থাকেন। এক ভাই পাশের দোকান থেকে আর্মস এনে আর এক ভাইকে গুলি করে। ধরা পড়েছে। আর্মস পাওয়া গেছে। ২-৩ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কীভাবে ঘটল, কেন ঘটল?’

ঠিক কী ঘটেছিল?

বুধবারের বেলা তখন প্রায় ১২টা। নিহতের পরিবার সূত্রে খবর, শেখ হায়দরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঝগড়া হচ্ছিল। তা দেখে থামাতে যান পরিবারের বাকিরা। অভিযোগ, তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের দোকান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে গুলি চালাতে শুরু করেন শেখ হায়দর। ছোট ভাই বাব্বন আনসারি দাদাকে আটকাতে গেলে, হায়দর তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি করেন বলে অভিযোগ।

শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শেখ হায়দরকে গ্রেফতার করে। বাব্বনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাবা মহম্মদ আকবর বলেন, ‘বলেছিল মিঞাঁ-বিবি ঝামেলা করছ কেন? তাতে বলল আমরা ঝামেলা করি তোমাদের তাতে কী। সেই রাগেই গুলি করে দিল।’

নিহতের বড় দাদা মহম্মদ আসগরের কথায়, ‘বন্দুক বের করে গুলি করে দিল। ভাইয়ের মাথায় ও বুকে গুলি লাগে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেটি কী করে অভিযুক্তর কাছে এল দেখা হচ্ছে তাও।

(Source: abplive.com)