ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেলেন অমর্ত্য সেন

ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেলেন অমর্ত্য সেন

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন : মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো আজ জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। পুলিশি পাহারায় আজ শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থেকে কলকাতায় আসছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্য সেনকে নিয়ে প্রায় ৮টি গাড়ির কনভয় এদিন রওনা হয়। সড়ক পথে কলকাতায় আসছেন তিনি। ১৭ ফেব্রুয়ারি ফিরবেন শান্তিনিকেতনে।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অমর্ত্য সেন দাবি করেন, এর আগে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাঁর সম্পর্কে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আক্রোশের কথা জানতে পারেন। গত ৩০ জানুয়ারি, বিশ্বভারতীর জমি-বিতর্কে বীরভূমে গিয়ে অমর্ত্য সেনকে জমির নথি দেওয়ার পাশাপাশি, জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

অমর্ত্য সেন-বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংঘাত-

জমি বিতর্কে ক’দিন ধরেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে সংঘাত চলছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এমনকি বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, নোবেলজয়ীর নোবেল পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তী। এই পরিস্থিতিতে দিনকয়েক আগে শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীতে গিয়ে জমির কাগজপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

একইসঙ্গে নাম না করে মুখ্য়মন্ত্রী কড়া বার্তা দেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেও। তিনি বলেন, উনি কি বিশ্বভারতীর ভিসি হওয়ার উপযুক্ত লোক ?

অমর্ত্য সেনের বাড়িতে বসেই তাঁর জন্য জেড প্লাস নিরাপত্তার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পুলিশ প্রশানের কর্তাব্যক্তিদের উদ্দেশে বলেন, একটা ক্যাম্প করে দাও এখানে। ডে নাইট ঠিক করে। আর স্যার যখন বেরোবেন, তখন স্যারকে একদম জেড প্লাস করে।

এদিকে জমি বিতর্কের আবহেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন অমর্ত্য সেন। অভিযোগ, তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসম্মানিত করা হচ্ছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দ্রুত ক্ষমা না চাইলে, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর জমি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বলে ফের দাবি করেছেন তিনি! নোবেলজয়ী বলেন, বাল্যবয়স থেকে এখানে থাকি। এখানে চিড়ে, মুড়ি খেয়ে ক্লাসে গেছি। হঠাৎ সেটা আমার নয়, ওদের হয়ে গেল কী করে?

অন্যদিকে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপাচার্যর বক্তব্য, বিশ্বভারতীর জমি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। আমরা সবাইকে লিজ দিই, অধ্যাপক সেন, অধ্যাপক সেনের পিতৃদেব, পিতামহ, সবাই লিজহোল্ড জমিতে থাকেন। উনি যেটা বলছেন, চিড়ে মুড়ি খেতেন, জমিটা ওনার, এটা তথ্যগত ভুল।

(Feed Source: abplive.com)