ছোট ছোট ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশু। তাতে কী হয়েছে? সারাক্ষণ চেঁচামেচি করে মাথা ধরিয়ে দিচ্ছে যেন। এবার আর থাকতে না পেরে তাদের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নিল এক ইতালিয়ান রেস্তোরাঁ। আগামী মার্চ মাস থেকে আর দশ বছরের নিচে কোনও শিশুকে ঢুকতে দেওয়া হবে না সেখানে। মা-বাবা প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমা দেখতে গেলে শিশুকে সাধারণত প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে তার কারণ আলাদা। এবার এই রেস্তোরাঁও জারি করল একই নিয়ম। নেপথ্যের কারণ হল তাঁদের অসহ্য দুষ্টুমি ও বেয়াদপি।
টিনটন ফলসের রেঁস্তোরা নেটিস হাউজ অফ স্প্যাঘেটি শুক্রবার তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ কথা জানায়। আগামী ৮ মার্চ থেকে আর ১০ বছরের কমবয়সি শিশুদের তারা ‘সার্ভ’ করবে না। ফেসবুক পোষ্টে এদিন রেস্তোরাঁর তরফে লেখা হয়, ‘আমরা বাচ্চা ভালোবাসি, সত্যিই ভালোবাসি! কিন্তু রেস্তোরাঁয় তাঁদের সামলানো বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’ রেস্তোরাঁর তরফে বলা হয়, তাঁদের চেঁচামেচি, রেস্তোরাঁ অপরিস্কার করা, এসব দেখেই এমন সিদ্ধান্ত। অপরিস্কার করলে সেগুলি আবার রেস্তোরাঁ কর্মীদেরই বেশি খাটনি দিয়ে পরিস্কার করতে হয়। তাই ছোট শিশু সামলানোর দায়িত্ব থেকে এককরম অব্যাহতি পেতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্তকে হালকাভাবে নিতেও বারণ করে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা দেখে এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি।’
আরও জানানো হয়, ৮ মার্চ শীতকালীন বিরতি শেষে তারা আবার পরিষেবা শুরু করছে। তখন ১০ বছরের কমবয়সি কোনও শিশুকেই রেস্তোরাঁর ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রেস্তোরাঁর খদ্দেরদের কথা মাথায় রেখে ফেসবুক পোষ্টে আরও কিছু কথা লেখেন তাঁরা। বলা হয় ‘বুঝতে পারছি, আমাদের এমন সিদ্ধান্তে আপনাদের কেউ কেউ বেশ মনখারাপ করছেন। বিশেষ করে যাদের বাচ্চা দুষ্টুমি করে না, ভালো হয়ে থাকে। তবে আমাদের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আমরা।’ পোস্টের শেষে ‘আমাদের সিদ্ধান্ত বোঝার জন্য ধন্যবাদ’ লেখে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
এক নেটিজেনের কমেন্টের উত্তরেও রেস্তোরাঁ বেশ ঝাঁঝালো শব্দে জানায়, আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে এদের সামলানো। রেস্তোরাঁয় ঢুকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দুষ্টু শিশুরা। তাঁদের সামলে খাবার পরিবেশন করা ও অন্যান্য কাজ করা রীতিমতো মুশকিল। এমন সিদ্ধান্তকে অনেকে সমর্থনও জানিয়েছেন। অন্য এক নেটিজেন লেখেন ‘একদম ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি ২০১৪ থেকে রেস্তোরাঁ সামলানোর কাজ করি। বাচ্চারা এলেই তাদের সামলানো খুব কঠিন হয়ে যায়। তাদের বাবামাও কিছু বলেন না।’
(Feed Source: hindustantimes.com)