কলকাতা: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে আরবিআই, এই ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি তারিখ থেতে ব্যাঙ্কের লকার ভাড়া নেওয়া সম্পর্কিত বেশ কিছু নিয়ম বদলে দিয়েছে। সেই সম্পর্কে আমরা সকলেই এর মধ্যেই জেনে ফেলেছি জানুয়ারি মাস পার হয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে এসে। কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই অহেতুক উদ্বেগের জন্ম নিয়েছে- এবার থেকে ব্যাঙ্কে লকার নিতে গেলে কি ফিক্সড ডিপোজিট খুলতেই হবে?
সাধারণত, যে ব্যাঙ্কে আমরা লকার ভাড়া নিই, সেখানে আমাদের ফিক্সড ডিপোজিট থাকেই। কিন্তু এখানে বিভ্রান্তির জায়গা অন্যত্র। তা কীভাবে ঘনিয়ে উঠেছে, সেই রহস্য ভেদ করার আগে এই সংক্রান্ত আরবিআই নীতির কথা জেনে নেওয়া উচিত হবে।
ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে লকার ভাড়া আদায়হতেই পারে, যিনি লকার ভাড়া নিয়েছেন, তিনি সময়ে সময়ে সেই ভাড়ার টাকা শোধ দিতে পারছেন না। এজন্য আরবিআই এই নিয়ম প্রণয়ণ করেছে। সেই নিয়ম অনুসারে আরবিআই কাউকে লকার ভাড়া দেওয়ার সময়ে তিন বছরের এক টার্ম ডিপোজিট খোলার অনুমতি দিয়েছে ব্যাঙ্ককে। তিন বছরের এই টার্ম ডিপোজিটে এই মেয়াদকালের ব্যাঙ্কের লকার ভাড়ার অঙ্কটা মজুত থাকবে। অর্থাৎ, ব্যক্তি সময়ে দিতে না পারলেও ক্ষতি নেই, তাঁকে বা ব্যাঙ্ককে লোকসান পোহাতে হবে না, ওই টার্ম ডিপোজিট থেকেই ভাড়ার টাকা কাটা যাবে।
ব্যাঙ্ক কি এই টার্ম ডিপোজিট খুলতে গ্রাহককে বাধ্য করতে পারে?আরবিআই এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে- যে সব গ্রাহকদের ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কে লকার ভাড়া নেওয়া আছে এবং যাঁদের লেনদেনে কোনও রকম অসঙ্গতি নেই, তাঁদের ব্যাঙ্ক এই ব্যাপারে বাধ্য করতে পারে না।
তিন বছরের আগে লকার সারেন্ডার করে দিলে কী হবে?এক্ষেত্রেও আরবিআই-এর আজ্ঞা গ্রাহকবান্ধব। গ্রাহক যদি তিন বছরের আগেই লকার সারেন্ডার করে দেন, তবে ভাড়ার টাকা কেটে নেওয়ার পর যা উদ্বৃত্ত থাকবে, তা ব্যাঙ্ক ফেরত দিতে বাধ্য।
ব্যাঙ্ক যদি অন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে জুড়ে যায় বা শাখা অন্য ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়?তাতেও গ্রাহকের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক দুটি প্রধান সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য যাতে তথ্য গ্রাহকের চোখে পড়ে। সেই অনুসারে তিনি ঠিক করবেন লকার রাখবেন না বন্ধ করে দেবেন। বন্ধ করে দিলে মেয়াদকালের ভাড়া কেটে বাকি টাকা তাঁকে ফেরত দেওয়া হবে।