বাংলাদেশঃ দিঘা, মন্দারমণির রোগ বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনেও! পর্যটকদের হুঁশ ফেরাতে নয়া উদ্য

বাংলাদেশঃ দিঘা, মন্দারমণির রোগ বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনেও! পর্যটকদের হুঁশ ফেরাতে নয়া উদ্য

সেন্ট মার্টিন: সৈকত বাঁচাতে অভিনব প্রয়াস, সৈকতকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে  প্লাস্টিকের প্যাকেট ও বোতল দিয়ে বিশাল আকার মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী অক্টোপাসের রেপ্লিকা বানিয় পর্যটক থেকে হোটেল ব্যবসায়ীদের সচেতনতার বার্তা দিল বাংলাদেশ সরকার |

কক্সবাজার জেলার সেন্ট মার্টিন সৈকত বাংলাদেশে পর্যটকদের ভ্রমণের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে | সৈকতের ধারে গজিয়ে একাধিক উঠেছে রিসর্ট | তবে সৈকতে ঘুরতে এসেই চিপসের প্যাকেট থেকে জল বা ঠান্ডা পানীয়র বোতল ফেলে সৈকতের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে মানুষ | প্রত্যেক পর্যটকের উপরে নজরদারিও সম্ভব নয়, তাই পর্যটকদের সতর্ক ও সচেতন করতেই এই প্রয়াস |

সেন্ট মার্টিন সৈকত পুলিশ ও বর্ডার পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারির পাশাপাশি প্রশাসন মনে করছে, সচেতনতাই এই সমস্যার মূল ওষুধ৷ তাই এক স্থানীয় শিল্পী ও পরিবেশ কর্মীদের সহয়তায় সৈকতের মাঝেই তৈরি করা হয়েছে দু’টি বিশাল রেপ্লিকা৷ একটি মাছ ও একটি সামুদ্রিক প্রাণী অক্টোপাসের৷ প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও দূষণের জেরেই মাছ ও অক্টোপাসের যে ক্ষতি হয়, তার পরোক্ষ ভাবে মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর প্রভাব পরে৷

সেন্ট মার্টিন সৈকতের মাঝেই এই ধরনের পরিবেশ রক্ষার প্রয়াসের পাশাপাশি, একটি বড় সমস্যা এর মধ্যে তৈরি হচ্ছে৷ সমুদ্রের জলে প্যাকেট  ও জলের বোতল ছুড়ে ফেলার প্রবণতা দেখা গেল অনেক পর্যটকের মধ্যে৷ এক দিকে সেন্ট মার্টিন সৈকতকে বাঁচাতে সচেতনতার বার্তা দিলেও, সেন্ট মার্টিন সৈকতে পর্যটকরা আসার পথে মানুষের অসেচনতা কিছুটা ভাবিয়ে তো তুলছেই৷

বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে নাবি নদীর উপর দিয়ে সারাদিনে ৫-৬ টি ছোট যাত্রীবাহী জাহাজ যাতায়াত করে | টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরুর সময় থেকেই দেখা মিলবে বিশেষ ধরনের পাখির, যারা জাহাজের যাত্রীদের ছুড়ে দেওয়া খাবার খেতেই জাহাজের পিছনে ধাওয়া দেয় ৷ আর সেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতেই জাহাজের স্টল থেকেই বিভিন্ন ধরনের আলুর চিপস বা বিসুকুট ছুড়ে ছুড়ে নদী বা সমুদ্রের জলের মধ্যে ছুড়ে ফেলেন পর্যটকরা আর সেই খাবার মুখে করে উড়ে যায় পাখির দল |

এই পর্যন্ত ঠিক থাকলেও হঠাৎ করেই যে দৃশ্য চোখে পড়ল, তা কিছুটা আঁতকে ওঠার মতোই| বিস্কুট ও চিপস পাখিকে খাওয়ানোর পর সেই প্লাস্টিকের প্যাকেট থেকে ঠান্ডা পানীয়র বোতল ছুড়ে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে সমুদ্রের জলে | যার ফলে সমুদ্রে দূষণ মাত্রা অনেকটাই বেড়ে চলছে৷  ক্ষতি হচ্ছে জলজ প্রাণীর৷ এই ভাবে চলতে থাকলে ফের বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী৷  একদিকে দূষণ ছড়ানোর প্রয়াস চালাচ্ছে একদল অসচেতন মানুষ ঠিক তখনই পরিবেশ রক্ষার বার্তাও দিচ্ছে একদল মানুষ ৷ এখন দেখা যাক জয়ী কে হয় |

(Feed Source: news18.com)