ওগবেচের গোলে হার, ATKMB-র লড়াই কঠিন হল, দু’নম্বর জায়গা নিশ্চিত করল হায়দরাবাদ

ওগবেচের গোলে হার, ATKMB-র লড়াই কঠিন হল, দু’নম্বর জায়গা নিশ্চিত করল হায়দরাবাদ

নিজামের শহর থেকেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে এটিকে মোহনবাগানকে। টানা তিন ম্যাচে জয় অধরা এটিকে মোহনবাগানের। জামশেদপুরের সঙ্গে ড্রয়ের পর আবার আটকে গেল সবুজ মেরুন। প্রেম দিবস ভালো গেল না লিস্টন, মনবীরদের। মঙ্গলবার গত বারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি-র ঘরের মাঠে তাদের কাছে ০-১ হেরে নিজেদের লড়াইটা কঠিন করে তুলল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। উল্টে হায়দরাবাদ এই জয় ছিনিয়ে নিয়ে দুই নম্বরে থাকা নিশ্চিত করে ফেলল। অর্থাৎ তারা সরাসরি সেমিফাইনালে খেলবে।

প্রথম দু’টি জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে এ বার বাকি চারটি জায়গার জন্য লড়াই আরও কঠিন হল। এই ম্যাচ হেরে সেরা ছয়ে থাকার দৌড়ে নিজেদের জায়গাটা নড়বড়ে করে ফেলল সবুজ-মেরুন বাহিনী।

পরের দুই ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্স এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে হারাতে না পারলে প্রথম ছয়ে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বাগানের। এ দিন হুগো বৌমাস, কার্ল ম্যাকহিউ এবং শুভাশিস বোসের অনুপস্থিতিই কাল হয়ে দাঁড়ায় এটিকে মোহনবাগানের। মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোদের সুযোগ নষ্টের ধারা অব্যাহত ছিল। যার খেসারত ম্যাচ হেরে দিতে হল সবুজ-মেরুন বাহিনীকে।

এ দিন ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর ৭৯তম মিনিটে মাঠে নামা নাইজেরীয় তারকা বার্থোলোমিউ ওগবেচের দূরপাল্লার শট সোজা গিয়ে জালে জড়ায়। ওগবেচের এই একমাত্র গোলেই ৩ পয়েন্ট পকেটে পোড়ে হায়দরাবাদ এফসি। ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট পেয়ে দুই নম্বর জায়গাটা পাকা করে ফেলল তারা। এই মরশুমে আর কোনও দল এই সংখ্যাটা ছুঁতে পারবে না। তাই এ বার বাকি চারটি জায়গার জন্য দৌড় শুরু হবে। যার জন্য দাবিদার পাঁচটি দল।

ঘরের মাঠে মুম্বই এফসি ম্যাচ থেকে অধঃপতন শুরু হয় জুয়ান ফেরান্দোর দলের। যেটা বজায় থাকল হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচেও। শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে তারা হেরেছে, একটিতে ড্র করেছে। তবে হারের ফলে পয়েন্ট টেবলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবলের চার নম্বরে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান।

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেন জুয়ান ফেরান্দো।‌ তবে প্রথম ৪৫ মিনিট আধিপত্য ছিল সবুজ মেরুনের। বল ধরে খেলার চেষ্টা করে কলকাতার প্রধান। প্রথমার্ধে দুই দলেরই বল পজেশন সমান ছিল। বাগানের গোল লক্ষ্য করে শট আটটি। তার মধ্যে নিশানায় মাত্র দু’টি। আশিস রাই বেশ কয়েক বার আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও ফলপ্রসূ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে খুব বেশি সুযোগ পায়নি কোনও দলই। তবুও বলের দখল বেশি ছিল সবুজ মেরুনের। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেনি। শেষমুহূর্তে যার খেসারত দিতে হয়। ওগবেচের গোলে হায়দরাবাদ থেকে খালি হাতে ফিরছে এটিকে মোহনবাগান।

(Feed Source: hindustantimes.com)