ধরা পড়ল আমেরিকাতেও, প্রকোপ কানাডা, ইউরোপেও, মাঙ্কিপক্স কী জেনে নিন

ধরা পড়ল আমেরিকাতেও, প্রকোপ কানাডা, ইউরোপেও, মাঙ্কিপক্স কী জেনে নিন

ম্যাসাচুসেটস: অতিমারির প্রকোপ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই নতুন করে মাঙ্কিপক্স (Monkeypox) ঘিরে আতঙ্ক আমেরিকায় (Monkeypox in US)। ম্যাসাচুসেটস-এ এক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত বলে নিশ্চিত করা গিয়েছে। সম্প্রতি কানাডা গিয়েছিলেন তিনি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে তাই তৎপর হয়ে উঠেছে আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিভাগ। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে।

ইউরোপের একাধিক দেশে মিলেছে হদিশ

কানাডায় ইতিমধ্যেই ছড়াতে শুরু করেছে মাঙ্কিপক্স। কোয়েবেক শহরে কমপক্ষে ১৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ব্রিটেন, পর্তুগাল, স্পেন-সহ ইউরোপের একাধিক দেশেও ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত আট জন রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পর্তুগালে আক্রান্ত ২০। মাদ্রিদে ২৩ জন আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে মিলছে খবর।

সাধারণত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকায় পশুদের থেকে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হন সাধারণ মানুষ জন। এক জনের থেকে অন্য জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনা বিরল। তবে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় গেলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোয়বেক শহরে যৌন চিকিৎসার ক্লিনিকেই রোগীর শরীরে এই সংক্রমণের হদিশ মেলে সম্প্রতি। তবে সংক্রমিতের লালা, কফ এবং পুঁজ থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ।

জ্বর, গায়ে ব্যথা, আকারে বড় বসন্তের মতো গায়ে গুটি গজিয়ে ওঠাকে আপাতত মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফোস্কার মতো দেখতে যন্ত্রণাদায়ক গুটি হাতে, পায়ে এবং মুখে গজিয়ে উঠতে দেখলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে। মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতটাই ভয়ঙ্কর যে, আক্রান্তদের ১০ শতাংশ তাতে মারাও যেতে পারেন। বর্তমানে ব্রিটেনে যে রূপ পাওয়া গিয়েছে, সেটি ততটা ক্ষতিকর নয়। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে সারতে সময় লাগে দুই থেকে চার সপ্তাহ।

টিকা এসেছে ২০১৯-এই

২০১৯ সালে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধী প্রথম টিকায় অনুমোদন দেয় আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ওই টিকা স্মলপক্স প্রতিরোধেও সহায়ক। তবে হনুমান বা বাঁদর থেকেই মাঙ্কিপক্স ছড়ায়, এমন ভেবে নেওয়া ভুল। ১৯৫৮ সালে দু’বার মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ দেখা দেয়। সেই সময় গবেষণায় দেখা যায়, হনুমান বা বাঁদরের মধ্যে মাঙ্কিপক্স যতটা না দেখা যায়, কাঠবিড়ালি, ইঁদুর-সহ তীক্ষ্ণ দাঁতের পশুর থেকেই বেশি ছড়ায় মাঙ্কিপক্স। পশুর কামড়, আঁচড় এমনকি তাদের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে সংক্রমণ।

(Source: abplive.com)