বালিশ দিয়ে মুখ চেপে গোপনাঙ্গে আঘাত, প্রেমিকের জন্য স্বামীকে মারল ৪৭ বছরের মহিলা

বালিশ দিয়ে মুখ চেপে গোপনাঙ্গে আঘাত, প্রেমিকের জন্য স্বামীকে মারল ৪৭ বছরের মহিলা

ময়না: বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই, এই বয়সে পরকীয়া মত্ত স্ত্রী খুন করলেন নিজের স্বামীকে! প্রেমের যে কোনও বয়স হয় না, এই কাহিনি সেই ভাবনায় আবারও নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে আপনাকে! পরকীয়া প্রেমের টানে স্বামীকে যেভাবে পরিকল্পনা করে খুন করলেন ওই মহিলা, তা যে কোনও লোমহর্ষক থ্রিলারকে হার মানাবে। ময়না থানার এলাকার ৪৭ বছর বয়সী গৃহবধূ তনুশ্রী বেরা স্বামী তুষার কান্তি বেরাকে পরিকল্পনা করে খুন করল।

গভীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার রায়চক গ্রামে বাড়ির মধ্যে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তুষারকান্তি বেরা নামে এক ব্যক্তির।  এই ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। এই ঘটনায় স্ত্রী মধ্য চল্লিশের গৃহবধূ তনুশ্রী-সহ তাঁর প্রেমিক শ্যামল বেরাকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় নির্বিকার চিত্তে নিজের কুকীর্তির কথা তুলে ধরেছেন তনুশ্রী যা শুনলে শিউরে উঠবেন সকলেই। পরিকল্পনামাফিক রাতভর একা হাতে কতটা নৃশংসতার সঙ্গে স্বামীকে পরপারে পাঠিয়েছেন ওই গৃহবধূ, সেই ঘটনা হার মানাবে যে কোনও ক্রাইম থ্রিলারকেও।

জেরায় তনুশ্রী জানিয়েছে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় একা হাতেই স্বামীকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে সে। কোর্টের নির্দেশে পুলিশ ঘটনার তদন্তের জন্য পুণঃনির্মাণ করে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তনুশ্রী জানায়, রাতে রান্না শেষ করে স্বামী, ছেলে-সহ বাড়িতে আসা প্রেমিক শ্যামলের ছেলেকে খাওয়ার জন্য ডাকে। এরপর রান্নাঘরে এসে একটি বাটিতে জল নিয়ে কোমরে শাড়ির ভাঁজে লুকিয়ে রাখা পাঁচটি ঘুমের ওষুধ জলে গুলে ডালের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। সেই ডাল সবাইকে খেতে দেওয়া হয়।

খাওয়া-দাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আটক তনুশ্রী স্বামীর খাটের মশারি তুলে ভেতরে যায়। সেই সময় অঘোরে ঘুমাচ্ছিল তার স্বামী। প্রথমে সে পাশে থাকা একটি বালিশ নিয়ে স্বামীর মুখের ওপর চেপে ধরে। তার স্বামী তখন ছটফট করতে করতে হাত পা ছুঁড়ছিল। এরই মাঝে হঠাৎ করে তার স্বামী বিছানা থেকে নীচে পড়ে। তনুশ্রীও একলাফে বিছানা থেকে লাফিয়ে নীচে নেমে বসে স্বামীর বুকের ওপর। ডানহাতে বালিশ চেপে ধরে মুখের ওপর। আর বাঁ হাতে গায়ের সব শক্তি দিয়ে চেপে ধরে স্বামীর অন্ডকোষ। ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় স্বামী নিজেকে প্রতিহত করতে পারেনি। কিছু সময় ছটফট করে অবশেষে শান্ত হয়ে যায় তার স্বামী। স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে নাকে হাত দিয়ে দেখে সে। তারপর সব শেষ হয়ে গেলে তনুশ্রী আস্তে আস্তে ওই ঘর থেকে পাশের ঘরে চলে যায়।

ময়না থানা ইতিমধ্যেই ঘাতক তনুশ্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিয়েছে। পুলিশের সামনে তনুশ্রী তাঁর কুকীর্তির পুরো ঘটনাই পুঙ্খানুপুঙ্খ নাটক করে দেখিয়েছে। একটি বড় টেডি বেয়ারকে স্বামী সাজিয়ে কীভাবে খুন করা হয়েছে সবটাই দেখিয়েছে সে। আর এই দুষ্কর্মের নেপথ্যে থেকে গৃহবধূকে ঘুমের ওষুধ জোগান দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রে সব রকম সহযোগিতা করেছে তার প্রেমিক শ্যামল বেরা। ওই গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিকের যাতে কঠিন শাস্তি হয় সেই আবেদনই জানিয়েছে মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরা।

(Feed Source: news18.com)