সবেতন দেওয়া হবে পিরিয়ডের জন্য ছুটি, নজির গড়ে প্রথম আইন পাশ ইউরোপের এই দেশে

সবেতন দেওয়া হবে পিরিয়ডের জন্য ছুটি, নজির গড়ে প্রথম আইন পাশ ইউরোপের এই দেশে

ইতিহাসে নজির গড়ল ইউরোপের স্পেন। সারা ইউরোপের মধ্যে প্রথম স্পেনেই চালু হতে চলেছে ঋতুস্রাবকালীন ছুটি। এই মর্মে আইনও পাশ হল বৃহস্পতিবার। এদিন স্পেনের আইনসভার সদস্যরা পিরিয়ডের ছুটি সংক্রান্ত আইনকে মান্যতা দেন। এর ফলে এবার থেকে মহিলারা পিরিয়ডের সময় বেতনসহ নির্দিষ্ট কয়েকদিন কাজ থেকে ছুটি নিতে পারবেন। এদিন আইন পাশের জন্য ভোটাভুটির আগে সাম্যবিষয়ক মন্ত্রী (ইকুয়ালিটি মিনিস্টার) আইরিন মনতেরো টুইট করে জানান, ‘নারীবাদী আন্দোলেনে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।’

এবার থেকে নয়া আইন মোতাবেক, স্পেনে পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড ব্যথা হলে মহিলারা যতদিন ইচ্ছে ছুটি নিতে পারবেন। রাজ্যের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিয়োগকর্তারা একে অসুস্থতার ছুটি হিসেবে ধরতে পারবেন না। তবে পিরিয়ডের ছুটি পেতে হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসককে সার্টিফিকেট দিতে হবে। চিকিৎসককে সার্টিফিকেটে জানাতে হবে ওই কর্মী এখন কাজ করতে অপারগ। সেই ভিত্তিতেই নিজের পছন্দ মতো কয়েকটি দিন ছুটি নেওয়া যাবে। নয়া পাশ হওয়া আইনে ঠিক কতদিন ছুটি নেওয়া যাবে সেই নিয়ে কিছু বলা নেই। পিরিয়ডের সময় তীব্র যন্ত্রণা হলে কতদিন ছুটি নিতে পারবে তার কোনও উল্লেখ নেই আইনের ধারায়।

বর্তমানে স্পেনের এক তৃতীয়াংশ মহিলাই পিরিয়ডের সময় তীব্র যন্ত্রণায় ভোগেন। এই সময় কোনও কাজ করা রীতিমতো দুরূহ হয়ে ওঠে। স্প্যানিশ গাইনিকোলজিস্ট ও অবস্টেট্রিক্স সোসাইটির তথ্য এমনটাই জানাচ্ছে। এদিনের ভোটাভুটিতে আইন প্রণয়নের পক্ষ ও বিপক্ষ দুইদিকেই ভালো সংখ্যায় ভোট পড়েছে। স্পেনের অন্যতম বড় বণিক সংগঠন ইউজিটি এদিন জানায়, এমন আইনের ফলে কর্মক্ষেত্রে রীতিমতো একঘরে হতে হবে মহিলা কর্মীদের। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে বিভিন্ন সংস্থাগুলিও তাদের পছন্দমাফিক পুরুষ কর্মীদেরই বেশি নিয়োগ করতে পারে। একা বণিক সংগঠন নয়, এক বক্তব্য রাখে আইনের বিপক্ষে থাকা প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পপুলার পার্টি। তারাও এই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে। তাদের কথায়, এমন আইনের ফলে মেয়েদের আরও বেশি সমস্যার শিকার হতে হবে। পাশাপাশি সংস্থাগুলি বেশি করে পুরুষ কর্মী নিয়োগ করবে। যার ফলে কাজের বাজারে কুপ্রভাব পড়তে পারে।

(Feed Source: hindustantimes.com)