জেলে বসেই মোবাইলে ফন্দি! বন্দিদের তল্লাশির নির্দেশ আদালতের, কেষ্ট মণ্ডলও?

জেলে বসেই মোবাইলে ফন্দি! বন্দিদের তল্লাশির নির্দেশ আদালতের, কেষ্ট মণ্ডলও?

কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত জেলে তল্লাশি শুরু করুন। কোনও বন্দি যাতে জেলে বসে ফোনে অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা না করে সেটা খতিয়ে দেখুন।

নির্দেশে বলা হয়েছে, একাধিক বিচারাধীন বন্দি নিয়মিত জেলে বসে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছে। জেলে বসেই তারা অপরাধ সংগঠিত করছে। এই গাফিলতির দ্রুত খতিয়ে দেখে সংশোধন করতে হবে।

বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, জেলে তল্লাশি চালাতে হবে। কোনও মোবাইল বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

আদালত নির্দেশ দিয়েছে গেটে জ্য়ামার বসিয়ে দিন। এক্সরে মেশিন বসান। কোন বন্দির কাছে এই ধরনের সামগ্রী রয়েছে কি না তা দেখতে হবে।

আসলে বহরমপুর জেলে বন্দি রয়েছেন সুকুর আলি মণ্ডল। মাদক পাচার মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তার মামলার শুনানি হচছিল এদিন। আদালত জানিয়েছে, কাস্টডিতে থাকাকালীন সে মাদক নিয়ে দরকষাকষি করেছে। সেটা আবার ফোনেই করা হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্ট আইজিপি( সংশোধনাগার)কে একটি তদন্ত করার জন্য় নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনকারীর কাছ থেেকে একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল। একটি সিম কার্ডও পাওয়া যায়। এরপর ২৬টি ওয়ার্ড, ৫০টি সেলে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু সেখানে কোনও ফোন মেলেনি।

নির্দেশ বলা হয়েছে কল রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে পিটিশনার জেল থেকেই ফোন করতেন।সেক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে যখন তল্লাশি চালানো হচ্ছিল তখনই তার কাছে ওই ফোন ছিল।

সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরমহল থেকেই অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রত মণ্ডল নাকি জেল থেকে ফোনে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এনিয়ে অনুব্রতর কোনও মন্তব্য মেলেনি। এদিকে সংশোধনাগারের পদস্থ আধিকারিকরা এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এই নির্দেশ কোনওভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। তবে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় কাজ হবে।

এদিকে জেলের মধ্যে এর আগেও বন্দিদের কাছে ফোন মিলেছে। এমনকী মাদকও পাওয়া গিয়েছে বন্দিদের কাছে। তারপরেও সতর্ক হয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ফের ফোন উদ্ধারের জন্য় নির্দেশ আদালতের। এবার সেই তল্লাশিতে কতগুলি ফোন উদ্ধার হয় সেটাই দেখার।

(Feed Source: hindustantimes.com)