শিফট শেষে এখানে কেউ আটকায় না, শাটডাউন হয়ে যায় অফিস কমপিউটার! অফিসের নাম “সফ্টগ্ৰিড কম্পিউটার”

শিফট শেষে এখানে কেউ আটকায় না, শাটডাউন হয়ে যায় অফিস কমপিউটার! অফিসের নাম “সফ্টগ্ৰিড কম্পিউটার”

ঝটপট কাজ সেরে বাড়ি ফেরার জন্য কত কিই না করতে হয়। শেষ মুহূর্তে ঘাড়ে যাতে কাজের বোঝা না চাপে, তাই বসকেও খুশি রাখতে হয় নানাভাবে। কাজ কমানোর জন্য অনেক শর্ট কাট পদ্ধতিও খুঁজে খুঁজে বার করতে হয়। কিন্তু এতকিছু করার পরেও‌ দেখা যায়, কাজ সময়মতো শেষ হচ্ছে না। আবার কাজ পরেরদিনের জন্য বাকি রেখে গেলেও মুশকিল। বসের ঝাড় থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা অনেকের চলে যায় অফিসে। অনেককে আবার এর থেকেও বেশি সময় কাটাতে হয় অফিসে। কাজ ঠিকমতো করলেও বসের মন রাখতে আরও কাজ করতে হয়।

এমনটাই যখন চারপাশের অবস্থা, তখন ইন্দোরের সফ্টগ্ৰিড কম্পিউটার-এর গল্পটা একটু অন্যরকম‌। সম্প্রতি তাদের কর্মী নিয়োগ বিভাগের (হিউম্যান রিসোর্স বা এইচআর) এক আধিকারিক এমনটাই জানান লিঙ্কডইনে। পেশাদারদের সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্কডইনে এদিন তিনি নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন তাদের অফিসে নির্দিষ্ট সময়ের পর আর কাজ করতে হয় না। কোনও কর্মী কাজ করতে চাইলেও সে করতে পারবে না। কারণ কাজের সময় শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে কম্পিউটার নিজে থেকেই মনে করিয়ে দেয়‌ সময়ের কথা।

এদিন পোস্টের ছবিটিতে তাঁকে একটি কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। সেই কম্পিউটারে‌র স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘ওয়ার্নিং! ইওর শিফ্ট টাইম ইজ ওভার! দ্য অফিস সিস্টেম উইল শাট ডাউন ইন টেন মিনিটস প্লিজ গো হোম।’ অর্থাৎ তোমার কাজের সময় শেষ! এবারে অফিসের কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে। তুমি দয়া করে বাড়ি যাও!

এইচআর তন্বী খান্ডেলওয়াল তাঁর পোস্টে জানান, কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে রীতিমতো হিমসিম খান কর্মীরা। সেখানে তাঁর সংস্থা কর্মীদের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, তাঁর সংস্থায় কাজের পরিবেশও যথেষ্ট ভালো। ফলে কাজ করার জন্য বারবার কারও উৎসাহের দরকার পড়বে না। প্রসঙ্গত সোমবার অফিসে আসার জন্য অনেকেই উৎসাহের অভাব বোধ করেন‌। ‘আজ থেকে আবার ৭ দিন টানা অফিস!’ এমনটা ভেবেই ক্লান্ত বোধ করেন অনেকে। তাঁদের জন্যই এই কথা লেখেন তন্বী।

(Feed Source: hindustantimes.com)