অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনস উইকের পঞ্চম দিন কনফেশন ডে’তে কি বুক দুরুদুরু?

অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনস উইকের পঞ্চম দিন কনফেশন ডে’তে কি বুক দুরুদুরু?

১৯ ফেব্রুয়ারি কনফেশন ডে। অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনস উইকের পঞ্চম দিন। কনফেশন ডে হল সত্যি বলার দিন। সত্যি যে কোনও রকম হতে পারে। হয়, যাঁকে ভালো লেগেছে, যাঁর সঙ্গে ফ্লার্ট করেছেন; এবার তাঁকে আপনার মনের গোপন অনুভূতির কথাটা বলুন। আরও গভীর সম্পর্কের দিকে যান। না হয়, অতীতের করা কোনও ভুলের কথা যা এতদিন বলতে পারেননি, যেজন্য লজ্জা পেয়েছেন, সংকোচ করেছেন সেটা এবার প্রকাশ করে ফেলুন। বলে ফেলুন সবটা। অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনস উইকের দিনগুলি আসলে প্রেমের অন্যরকম সাধনার দিন। নজরুলের গানে রয়েছে ‘মোর ভুলিবার সাধনায় কেন সাধো বাধ’। এ আসলে সেই ভুলিবার সাধনা। এ এক অন্যরকম উদযাপন। যখন অনেক বিপরীত ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার হাত ধরে আসলে সম্পর্কের এক ভিন্ন নতুনত্বে পৌঁছনো।

কিন্তু কনফেশন ডে আসছে বলে কি বুক দুরুদুরু আপনার? একটু ভীত-শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন?

জেনে নিন স্বীকারোক্তির সহজ কয়েকটি পদ্ধতি:

চিঠি লিখে– অনেক সময়েই মুখে অনেক কিছু বলা যায় না। ফলে লিখে দিতে পারলে কাজটা একটু সহজ হয়ে যায়।

কোনও আর্ট পিস তৈরি করে– হয়তো চিঠি লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না। তা হলে কোনও পিস অফ আর্ট তৈরি করে ফেলুন। একটা কবিতা লিখে দিন।

ডেটে ডাকুন– যাঁর কাছে কনফেশন করতে চান, তাঁর সঙ্গে ডেটে যান।

কোনও মিউচুয়াল বন্ধুর সাহায্য করুন– আপনাদের দুজনেরই কমন কোনও ফ্রেন্ডের সাহায্য নিন। যদি খুব নার্ভাস হয়ে পড়েন, তাহলে তার মাধ্যমে বলে ফেলুন আপনার আঁতের কথা।

শুধু প্রেম নয়, অ-প্রেমও উপজীব্য হতে পারে মানুষের। এক সপ্তাহ ধরে চুটিয়ে প্রেম উদযাপন করেন যাঁরা, থাকতে পারেন তো তাঁদের বিপরীত মেরুতে কেউ? হ্যাঁ, থাকেন বইকি। তবে মন খারাপ করে থাকেন না মোটেই, থাকেন রীতিমতো জাঁকিয়ে জম্পেশ ভাবে। তাঁরা পালন করেন অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনস উইক। এ-ও স্বাভাবিক ভাবেই সাত দিনের এক উদযাপন।

সেই সাত দিনের উদযাপনের আজ চতুর্থ দিন। প্রথম দিন ছিল, ভ্যালেন্টাইনস ডে, পরের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি — স্ল্যাপ ডে। তার পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি কিক ডে। তার পরের দিন, ১৭ ফেব্রুয়ারি আসে পারফিউম ডে। আর আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ফ্লার্ট ডে। এর পরের দিনে ১৯ ফেব্রুয়ারি কনফেশন ডে, তার পরের দিনে ২০ ফেব্রুয়ারি মিসিং ডে। আর সব শেষে আসে ব্রেক-আপ ডে, ২১ ফেব্রুয়ারি। এই দিনগুলি শুধু সোনার খাঁচায় থাকবার দিন নয়। এগুলি সেই উড়ে যাওয়ার, পুড়ে যাওয়ার দিনগুলি।

স্ল্যাপ ডে– এদিন চড় কষানোর দিন। এটা প্রতীকী। আসলে নিজের ভেতরের টক্সিসিটিকে বের করে দেওয়ার দিন এটি। নিজের ভেতরের রাগ ক্ষোভ দুঃখ অভিমান বের করে দেওয়ার রাস্তা এটি।
কিক ডে– এটাও ওই টক্সিসিটিকে বের করে দেওয়ার দিন। বলতে গেলে স্ল্যাপ ডে-র এক্সটেনশন ডে এটি।
পারফিউম ডে– এটি আসলে সেল্ফ কেয়ার ডে। নিজেকে ভালোবাসার দিন, নিজেকে সাজানোর দিন। এদিন সুগন্ধের আমেজে মজিয়ে দেওয়ার দিন।
ফ্লার্ট ডে– নতুন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার দিন এটি, তাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার দিন। সঙ্গে কিছু মজা উপরি পাওনা। কনফেশন ডে– তবে এদিন সত্যি বলার দিন। সত্যি যে কোনও রকম হতে পারে। হয়, যাঁকে ভালো লেগেছে, যাঁর সঙ্গে ফ্লার্ট করেছেন তাঁকে মনের গোপন অনুভূতির কথাটা বলুন, বলে আরও গভীর সম্পর্কের দিকে যান। না হয়, অতীতের করা কোনও ভুলের কথা প্রকাশ করে বলুন এবং সেজন্য দুঃখপ্রকাশ করুন।
মিসিং ডে– এদিন ‘মুখ ফুটে তোর আপন কথা একলা বলো রে’-র দিন। আপনি আপনার সেই বিশেষ মানুষটির থেকে দূরে থাকলে তাঁকে কতটা মিস করেন সেটা তাঁকে বলুন।
ব্রেক-আপ ডে– এ আসলে এক আশ্চর্য উদযাপন। ব্রেক-আপ ডে! ভ্যালেন্টাইনস উইকে যেমন সব শেষে আসে প্রেমদিবস, তেমনই অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনস উইকের শেষে আসে ব্রেক-আপ ডে, বিচ্ছেদদিন। আঁকড়ে ধরে না থাকার বিপরীতে এই ছেড়ে দেওয়ার সাধনা।

(Feed Source: zeenews.com)