বুড়ো বয়সে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পৌঁছে নজির গড়লেন জেমস অ্যান্ডারসন

বুড়ো বয়সে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পৌঁছে নজির গড়লেন জেমস অ্যান্ডারসন

শুভব্রত মুখার্জি: ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের যত বয়স বাড়ছে, তত তিনি যেন ভেল্কি দেখাচ্ছেন। ৪০ হয়ে যাওয়ার পরেও দেশের হয়ে সাদা জার্সিতে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা টেস্ট বোলার তিনি। আর তাঁর এই ধারাবাহিক ভাবে ভালো পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি এ বার পেলেন তিনি। আইসিসির টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এলেন অ্যান্ডারসন। আর তার ফলেই গড়ে ফেললেন নয়া এক নজির। পঞ্চম বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠার নজির গড়লেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে সরিয়ে দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করলেন জিমি অ‌্যান্ডারসন। ৪০ বছর বয়সে এই তারকা পেসার সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। আর এর মধ্যে দিয়েই তিনি পুনরুদ্ধার করেছেন টেস্টে বোলারদের ক্রমতালিকায় ১ নম্বর জায়গা। অ্যান্ডারসন তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একবার, দু’বার নয়, ছয় বার আইসিসির টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন। ৪০ বছর ২০৭ দিন বয়সে কামিন্সকে সরিয়ে শীর্ষে উঠে এসে পঞ্চম বয়স্কতম ক্রিকেটার হিসেবে নয়া নজির গড়েছেন তিনি।

সবচেয়ে বুড়ো বোলার হিসেবে এক নম্বর জায়গা দখল করেছিলেন বার্ট আয়রনমঙ্গার। ১৯৩৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫০ বছর ১০ মাস বয়সে তিনি আইসিসি রাঙ্কিংয়ে এক নম্বর জায়গা দখল করেছিলেন। তার পর রয়েছেন ক্ল্যারি গ্রিমেট। তিনি আবার ১৯৩৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ বছর ২ মাস বয়সে শীর্ষ স্থান দখল করেছিলেন। ১৯২৯ সালের জুলাই মাসে ‘টিচ’ ফ্রিম্যান ৪১ বছর ২ মাস বয়সে শীর্ষে উঠেছিলেন। ১৯১৪ সালে সিডনি বার্নস আবার ৪০ বছর ৯ মাস বয়সে এক নম্বর জায়গা দখল করেছিলেন। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সাম্প্রতিক কালে ক্রিকেটের বাড়বাড়ন্ত এবং চাপের মাঝেও ৪০ পার করে টেস্ট এক নম্বর বোলার হওয়া নিঃসন্দেহে বড় কৃতিত্বের।

টেস্ট ইতিহাসে পেসারদের মধ্যে সব থেকে বেশি উইকেট জেমস অ্যান্ডারসনের। মাউন্ট মঙ্গানুইতে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে ২৬৭ রানের বিরাট ব্যবধানে। সেই জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। শেষ ১১ টেস্টে এটি ইংল্যান্ডের দশম জয়। নিঃসন্দেহে কুর্ণিশযোগ্য পারফরম্যান্স। কিউয়িদের বিরুদ্ধে তিনি ৭টি উইকেট নিয়েছেন ম্যাচে। এই মুহূর্তে টেস্টে তাঁর প্রাপ্য উইকেট সংখ্যা ৬৮২। ২০০৩ সালে নিজের প্রথম সিরিজ খেলা থেকে শুরু করে এত দিন পরে তাঁর বোলিং গড়ও নেমে গিয়েছে প্রথম বার ২৬’র নীচে। ৩৫ বছর বয়সের পর থেকে যেন আরও খুলে গিয়েছে তাঁর পারফরম্যান্স। ২০২ টি উইকেট এই সময়ে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৫৬ টি টেস্টে। গড় মাত্র ২০.৫৬। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও খেলছেন তিনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)