স্কুলের বাচ্চাদের মতো ভুল করে আউট হয়েছেন, নাসেরের এমন দাবি মানতে নারাজ হরমনপ্রীত

স্কুলের বাচ্চাদের মতো ভুল করে আউট হয়েছেন, নাসেরের এমন দাবি মানতে নারাজ হরমনপ্রীত

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হরমনপ্রীত যেভাবে রান-আউট হন, তাকে দুর্ভাগ্যজনক বলা ছাড়া উপায় নেই। অনায়াসে ক্রিজে পৌঁছে যেতেন ভারতের ক্যাপ্টেন, তবে পিচে ব্যাট আটকে যাওয়ায় যথা সময়ে ক্রিজ টপকানো সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে।

হরমনপ্রীত যে রকম খেলছিলেন, তাতে তিনি আউট না হলে ভারত ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে পারত। তবে ব্যক্তিগত ৫২ রানের মাথায় হরমনপ্রীত আউট হওয়ার পরেই ম্যাচ মোড় ঘুরে যায় এবং ৫ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতকে।

হরমনপ্রীতের আউট হওয়ার ধরন দেখে নাসের হুসেন বিষয়টিকে ‘স্কুলের মেয়েদের মতো ভুল’ বলে উল্লেখ করেন। যদিও হরমনপ্রীত মেনে নিতে পারলেন না প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়কের এমন মতামত। ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে হরমনপ্রীত স্পষ্ট জানান যে, এর আগেও অনেকে এমন দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান-আউট হয়েছেন। তবে বিষয়টি কোনওভাবেই স্কুলের বাচ্চাদের মতো ভুল করে আউট হওয়া নয়।

সংবাদিক সম্মেলনে হরমনপ্রীতের সামনে নাসেরের বক্তব্য তুলে ধরা হলে ভারতের ক্যাপ্টেন বলেন, ‘উনি এরকম বলেছেন? আমি জানি না। হতে পারে এটা ওনার দৃষ্টিভঙ্গি। ওনার যা মনে হয়েছে। তবে এমনটা হয়েই থাকে। ক্রিকেটে অনেককেই এভাবে আউট হতে দেখেছি। অনেক সময়ই ব্যাটার এক রান নিতে গিয়ে ব্যাট আটকে গিয়ে রান-আউট হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে কখনই স্কুলের মেয়েদের মতো ভুল নয়। কারণ আমরা যথেষ্ট পরিণত এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছি।’

যদিও এক্ষেত্রে হরমনপ্রীত আরও একটু তৎপরতা দেখাতে পারতেন বলে মত বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের। কেননা রান নেওয়ার সময় মোটেও তাড়াহুড়ো করেননি ভারতের ক্যাপ্টেন। বরং ধীরে সুস্থে ক্রিজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ধারাভাষ্যকাররাও একযোগে স্বীকার করে নেন যে, অজি উইকেটকিপার হিলি যে রকম ক্ষিপ্রতা দেখিয়েছেন, তা হরমনপ্রীতের দেখানো উচিত ছিল।

ভারতীয় ইনিংসের ১৪.৪ ওভারে হরমনপ্রীতের এই রান-আউটকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কেপ টাউনে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রানে আটকে যায়। ৫ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

(Feed Source: hindustantimes.com)