প্রস্তাবিত ডিজিটাল ইন্ডিয়া আইন নিয়ে এই প্রথম পর্যালোচনা করলেন ইলেক্ট্রনিক্স এবং আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। বৃহস্পতিবার ‘স্পাই’ চশমা এবং ওয়্যারেবল ডিভাইসের মতো বিতর্কিত গ্যাজেটের ডেটা সংক্রান্ত নিয়ম নির্ধারণ করা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া আইনের খসড়া এখনও স্থির করা হয়নি। ব্যবহারকারী, বিশেষজ্ঞ এবং গ্যাজেট নির্মাতাদের সঙ্গে আরও দুই দফার আলোচনা হবে। তারপরেই এই নয়া আইনের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হবে। বেঙ্গালুরুতে প্রথম দিনের আলোচনার পরে এক ভার্চুয়াল সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানালেন আইটি মন্ত্রী।
আমরা আইনের প্রাথমিক ধারাগুলি কী হবে, তাই নিয়ে এই প্রথমবারের মতো কিছু পরামর্শ গ্রহণ করেছি। এর ভিত্তিতে একটি খসড়া তৈরি করা হবে। এরপর সেই খসড়া নিয়ে অন্তত ৪৫ থেকে ৬০ দিন পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করা হবে। তারপরেই সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে।
এই সুপারিশ-পরামর্শের সময়ের উপর ভিত্তি করে, আগামী জুলাই মাসে সংসদে এই খসড়া বিল উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরেই এই আইন কার্যকর হবে বলে আশা করছি।’
কিন্তু এই আইনের পিছনে এত সময় দেওয়ার কারণ কী? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ‘বর্তমানে আমরা এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে প্রযুক্তি ভীষণ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এসে গিয়েছে। AI কম্পিউট, ব্লকচেইন, সব ধরনের বড় বড় পরিবর্তনের যুগ চলছে। সেই সময়ের দাবি মেনেই এই আইন আনা হয়েছে। আমাদের এখন থেকেই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
প্রাথমিক আলোচনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘স্পাই’ ক্যামেরার মতো ডিভাইসের ক্ষেত্রে কী আইন করা উচিত্, তাতে কীভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব, তাই নিয়ে আলোচনা করেন।
‘আমি বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছি। এই যে ক্যামেরার মধ্যে চশমার মতো ডিভাইস, এমন ক্ষেত্রে আইনি প্রতিক্রিয়া কী হওয়া উচিত? কেউ যদি ক্যামেরা লাগানো কিছু নিয়ে ঘরে ঢুকে আপনার ছবি তুলতে শুরু করেন, তখন আইনিভাবে এটি কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত?’ প্রশ্ন করেন চন্দ্রশেখর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট পাঁচ বছর আগের চেয়ে অনেক বেশি জটিল। নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম, নতুন ডিভাইস এবং 5G, 6G এবং IoT এসে গিয়েছে। ইন্টারনেটের জটিলতা মাত্র পাঁচ বছর আগে যা ছিল তার তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি। তাই DIA-কে এর মোকাবিলা করতে হবে, বলেন তিনি।
(Feed Source: hindustantimes.com)