জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিডনি স্টোনের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন বিশ্বে। এই রোগে আক্রান্তদের শারীরিক ভোগান্তিও হয় প্রচুর। কষ্টসাধ্য চিকিৎসার মাধ্যমে এই স্টোনকে দেহ থেকে বের করার পদ্ধতিও। তবে এরই মধ্যে একটি গবেষণায় তাক লেগেছে বিশ্বে। গবেষকরা জানিয়েছেন কিডনি থেকে স্টোন বের করতে এবার সাহায্য করবে পাতিলেবু৷
শুনতে অবাক লাগলেও সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবুতে বেশ কিছু ন্যানোপার্টিকলস রয়েছে যা কিডনি স্টোন নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যালস বিজ্ঞানী হোনজি কিয়াও বলেন, আগামী দিনে এই গবেষণার মাধ্যমে কিডনি স্টোন তৈরি হওয়াকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে৷ যারা কিডনি স্টোনে ভোগে তারা জানে এই যন্ত্রণা। বিশেষত যখন দেহনালীর মধ্য দিয়ে ক্রিস্টালগুলি চলাচল করে তখন প্রসববেদনা থেকেও বেশি কষ্ট হয় বলে জানিয়ে অনেক রোগী।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজিস্ট থমাস চি বলেন, এখন যদিও বেশ কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে না কমলে সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কিডনি স্টোন বের করা হয় শরীর থেকে। সেই প্রেক্ষাপটে এই গবেষণা যুগান্তকারী বলে মনে করছেন অনেকেই। গবেষকরা জানিয়েছেন, লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড স্টোন গলাতে সাহায্য করতে পারে৷ স্টোনগুলিতে যে উপাদান থাকে তা সাইট্রিক অ্যাসিডে ভাঙতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন- প্রতিদিন লেবুর রস খেলে দাঁতের এনামেল এবং ক্যালসিয়াম ক্ষয় হতে পারে৷ তাই স্টোন কমাতে লেবুর রস খাওয়া ঠিক পন্থা নয়। ২০২২ সালের একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে কিডনিতে স্টোন রয়েছে এমন রোগীদের প্রতিদিন ১২০ মিলিলিটার (প্রায় আধ কাপ) লেবুর রস দিয়ে সমস্যা কমানো গিয়েছিল। তবে লেমোনেড অতিরিক্ত খাওয়ায় দাঁতের সমস্যাও সৃষ্টি করেছিল। তাই কিয়াও এবং সহকর্মীরা স্থির করেছিল এমন কিছু উপাদান তারা তৈরি করবেন যাতে ‘সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে’।
সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সময় দেখা যায়, জিনসেং, বাতাবি এবং ড্যান্ডেলিয়নের মতো গাছে এক্সটাসেলুলার ভেসিকলের মতো ন্যানোপার্টিকাল রয়েছে। যেখানে ফ্যাট, প্রোটিন এবং ডিএনএ অণু রয়েছে৷ এই অণু অবশ্য লেবুর রসে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে। ইঁদুরের ওপর করা সেই পরীক্ষায় দেখা যায়, ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনির পাথরকে নরম করে গলিয়ে দিচ্ছে। যদিও মানুষের শরীরে এটিকে পরীক্ষামূলকভাবে এখনও ব্যবহার করা হয়নি।
(Feed Source: zeenews.com)