পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মিটিয়ে দিতে হবে। তিন মাসের মধ্য়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (স্যাট) রায় কার্যকর করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে বলেছে, ‘মহার্ঘ ভাতা (রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের) আইনত অধিকার, মৌলিক অধিকার।’
২০১৬ সাল থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা চলছে। কখনও স্যাটে আইনি লড়াই হয়েছে। কখনও মামলা হাইকোর্টে চলেছে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে স্যাট নির্দেশ দিয়েছিল যে ছয় মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেটা হয়নি। বিষয়টি ফের হাইকোর্টে গড়ায়।
শুক্রবার সেই মামলার রায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধাক্কা খেয়েছে। বহাল রাখা হয়েছে স্যাটের নির্দেশ। খারিজ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের আবেদন। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টতই জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনত অধিকার, মৌলিক অধিকার। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের যুক্তিও গৃহীত হয়নি হাইকোর্টে। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বেশি তহবিল না থাকায় সরকারি কর্মীদের বেশি হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি উচ্চতর আদালতে।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী কল্লোল বসু জানান, এটা ঐতিহাসিক রায়। সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার আওতায় ডিএ হল রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সর্বভারতীয় মূল্যবৃৃদ্ধি সূচক অনুযায়ী ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।
একইসুরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের দাবি, দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে সাফল্য মিলেছে। রাজ্য আবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। তবে সুপ্রিম কোর্টে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের এক প্রতিনিধির বক্তব্য, ‘আমরা আপনাদের শত্রু নয়। আপনি আমাদের অভিভাবক’।
(Source: hindustantimes.com)