তালিবান শাসনকে কি স্বীকৃতি দেয় ভারত? আরও একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল দেশ

তালিবান শাসনকে কি স্বীকৃতি দেয় ভারত? আরও একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল দেশ

আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখলকে কোনও দিন মানেনি ভারত। আর সেই অবস্থানই এখনও অনড় রয়েছে ভারত। কোঝিকোড়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে ১৪ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত একটি অনলাইন কোর্স করানো হবে। এদিকে তালিবান বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল তাদের আধিকারিকেদের এই কোর্সে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে। তবে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, যাদের ভারত স্বীকৃতিই দেয় না তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের কোনও ব্যাপারই নেই।

এদিকে একটি স্বাক্ষরবিহীন একটি চিঠি দেখিয়ে তারা বোঝাতে চেয়েছিল কাবুলে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছিল। তবে এই দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

অরিন্দম বাগচি রেগুলার মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ভারত ITEC প্রোগ্রাম করতে চাইছে। তার মধ্যে অনলাইন কোর্সও রয়েছে। এই স্কলারশিপ কোর্সে নানা ধরনের বিষয় রয়েছে। এই কোর্সটি সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাগরিক এমনকী আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্যও খোলা রয়েছে।

আফগান নাগরিক যারা আফগানিস্তানে কিংবা ভারতে রয়েছেন তারাও এই কোর্স করার ব্যাপারে নথিভুক্তি করেছেন। তবে এই কোর্সের মাধ্যমে ভারতে আসার কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু কাবুলে তালিবান সেট আপ নিয়ে ভারতের অবস্থানের কোনও বদল হচ্ছে না।

তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের যে অবস্থান ছিল সেটার বদল হচ্ছে না। তবে আমরা দুই সরকারের মধ্য়ে কোনও নোট আদানপ্রদান করিনি মূলত যাদের কোনও স্বীকৃতিই নেই।

ITEC হল বিশ্বের অন্যতম বড় একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে প্রায় ১৬০টি দেশের ২০০,০০০ আধাকারিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এদিকে গত বছর জুন মাসে ভারত কূটনৈতিক একটি উপস্থিতি রাখার জন্য় কাবুলে দূতাবাস খুলেছিল। একটি ছোট টিমের কূটনৈতিকরা যাঁরা মূলত টেকনিকাল টিম বলে পরিচিত তারা রয়েছেন কাবুলে। তবে আফগানিস্তান জুড়ে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করার ব্যাপারে ভারত এখনও তার নিশ্চিতভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

প্রসঙ্গত বিগতদিনে কার্যত জোর করেই আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবানরা। সেখানে কার্যত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়। তালিবান জঙ্গিরা সেখানকার নারীদের উপরেও নানা রকমের নির্যাতন মূলক কাজ করেছিল বলে অভিযোগ। তবে বরাবরই তালিবানের এই ক্ষমতা দখল করাকে কোনওভাবে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। এনিয়ে ভারতের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

(Feed Source: hindustantimes.com)