‘গণতন্ত্র বাঁচাতে একজোট হতে হবে,’ মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা অখিলেশের

‘গণতন্ত্র বাঁচাতে একজোট হতে হবে,’ মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা অখিলেশের

কলকাতা: ‘দেশের গণতন্ত্র কীভাবে বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে আমরা একজোট হব। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও দলের এমন আচরণ করা উচিত নয়, যাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ক্ষতি হয়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav)।  শনিবার কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির কর্মসমিতির বৈঠক। সেই উপলক্ষ্য়ে শহরে এসেছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সেই কর্মসূচির ফাঁকে এদিন কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

মুখোমুখি মমতা-অখিলেশ: সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে প্রচার চালাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশ যাদব। মোদি সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নানা নীতির বিরুদ্ধে যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করার ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন তৃণমূল নেত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সভাপতি।

জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, একদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কট, বেকারত্ব। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের মতো অভিযোগে মোদি সরকারকে যখন বিরোধীরা চেপে ধরার চেষ্টা করছে। তখন বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের অস্ত্র দুর্নীতির অভিযোগ। যা নিয়ে বাংলা-সহ রাজ্যে রাজ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শুক্রবার কলকাতায় পা রেখে সেই বিষয়টি নিয়েই সরব হন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি। এদিন অখিলেশ যাদব বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের কম নেতা জেলে আছেন, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বহু বিধায়ক, নেতা মিথ্যে মামলায় জেলে আছেন, বিজেপি যেই দলকে ভয় পায়, সেই দলের নেতাদের বাড়িতেই সিবিআই-ইডি পাঠায়।”

বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। একের পর এক হেভিওয়েট নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। দিল্লিতে আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ শিসোদিয়া। একই মামলায় তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিহারে আরজেডি নেত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে তল্লাশি চলেছে। তল্লাশি হয়েছে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও লালু-রাবড়ির ছেলে তেজস্বীর বাড়িতেও। অন্যদিকে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির নজরে রয়েছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই তৎপরতার প্রেক্ষাপটেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। এদিন অখিলেশ যাদব বলেন, “ইডি সিবিআই ইনকাম ট্যাক্স বিরোধীদের জন্যই আছে। কিন্তু, বিজেপির ভ্যাকসিন লাগিয়ে নিলেই ইডি-সিবিআই আর কাজ করে না।” একই সুরে এজেন্সি ইস্যুতে মোদি সরকারকে নিশানা করে তৃণমূলও।

(Feed Source: abplive.com)