৫০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন, শান্তনুর কালো টাকা সাদা হত অয়ন মারফতই? চাঞ্চল্যকর আরও দাবি ED র

৫০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন, শান্তনুর কালো টাকা সাদা হত অয়ন মারফতই? চাঞ্চল্যকর আরও দাবি ED র

আবীর দত্ত, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : সল্টলেকের ( Saltlake ) অফিসে টানা ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর, ইডি-র  ( ED) হাতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ( Shantanu Banerjee ) ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল ( Ayan Sheel ) । নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে  ( Bengal Recruitment Scam ) ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল কেন গ্রেফতার হলেন?

শান্তনুর টাকা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ

ইডি-র দাবি, অয়নের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই শান্তনুর টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে। ৫০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে। ইডি-র দাবি, টাকা লেনদেন নিয়ে প্রোমোটারের কাছ থেকে সদুত্তর মেলেনি।

 অয়নের অফিস থেকে কী কী উদ্ধার 

এছাড়াও, অয়নের সল্টলেকের অফিসে শ-চারেক OMR শিট, অ্যাডমিট কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা এবং রাজ্যের ৭০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও ডিজিটাল নথি মিলেছে বলে ইডি-র দাবি। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের অফিসে ৭টি কম্পিউটারের মধ্যে কয়েকটির অ্যাকসেস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর অয়নকে এনে সেগুলি খোলা হয়। অয়নকে গ্রেফতারের পাশাপাশি, ২টি ট্রলি ব্যাগে করে প্রচুর নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইডি অফিসে।

কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ 
শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি জানতে পারে, সল্টলেকের FD ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়ির একতলায় অয়নের অফিস রয়েছে। ওইদিনই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি-র একটি দল ওই অফিসে হানা দেয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে তল্লাশি শুরু হয়। রাতেই অয়নকে নিয়ে আসা হয় সল্টলেকের অফিসে। ইডি-র তল্লাশি অভিযান শেষ হয় রবিবার রাত ৩টে ৪০-এ। অয়নকে গ্রেফতার করে আনা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে।

(Feed Source: abplive.com)