লিভ ইন সম্পর্ককে রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি চেয়ে মামলা, বকাঝকা করে খারিজ করল আদালত

লিভ ইন সম্পর্ককে রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি চেয়ে মামলা, বকাঝকা করে খারিজ করল আদালত

লিভ ইন সম্পর্কে থাকা কোনও জুটির রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসে আইনজীবী মমতা রানী এই আবেদন করেছিলেন। তিনি এই লিভ ইন সম্পর্ক থেকে একাধিক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা হচ্ছে বলেও দাবি করেন। তিনি শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনার কথাও উল্লেখ করে নেন। তবে আদালত এই আবেদনকে খারিজ করে দিয়েছে।

তবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বের তিন সদস্য়ের বেঞ্চ আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন,  ওই কাপলদের সুরক্ষা চাইছেন নাকি তারা যাতে এই লিভ ইন সম্পর্কে না যান সেটা বলতে চাইছেন। এদিকে আবেদনকারীর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য তাদের সম্পর্ককে রেজিস্ট্রেশন করা হোক।

একথা শুনে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই লিভ ইন রিলেশনশিপকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে কেন্দ্র কী করবে? এটা আবার কী ধরনের উদ্ভট ধরনের আইডিয়া? এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা করলে এবার জরিমানা করার সময় এসে গিয়েছে। এই মামলা খারিজ করা হল।

এদিকে আবেদনকারীর তরফে বলা হয়েছিল লিভ ইন সম্পর্ককে রেজিস্ট্রেশন করলে এতে একেবারে ঠিকঠাক তথ্য় থাকবে। সরকারের কাছেও এনিয়ে সঠিক তথ্য় থাকবে। এর সঙ্গেই ওই সম্পর্কে যারা থাকছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের রেকর্ড রয়েছে কি না, তাদের বৈবাহিক স্ট্যাটাস, সহ নানা তথ্য় সহজে জানা যাবে।

আবেদনকারী তরফে দাবি করা হয়েছিল এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জেরে অনেক সময় ধর্ষণ , খুনের মতো ঘটনাও হয়ে থাকে। একাধিক ধর্ষণের মিথ্য়ে মামলাও হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় আদালতের কাছেও এই ধর্ষণ সংক্রান্ত ব্যাপারে সঠিক তথ্য় থাকে না। সেকারণে রেজিস্ট্রেশন করাটা অত্যন্ত দরকার বলে জানিয়েছিলেন আবেদনকারী।

এদিকে তিনি শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ভয়াবহ ঘটনাও তুলে ধরেছিলেন। প্রসঙ্গত শ্রদ্ধার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন আফতাব। কিন্তু সে তাকে খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল বলে অভিযোগ। এরপর তার বডি ফ্রিজে পুরে রেখে দেয়। পরে জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়া হয় শ্রদ্ধার দেহের টুকরো। এমনকী শ্রদ্ধার দেহ যখন ফ্রিজে তখন অন্য মহিলার সঙ্গেও সম্পর্ক করত আফতাব। তদন্তে এমনটাও উঠে আসে। সেই খুনের ঘটনার কথাও আদালতে তুলে ধরেছিলেন আবেদনকারী।

(Feed Source: hindustantimes.com)