বিয়েতে পণ দেওয়া হলে কি বাবার সম্পত্তির ওপর অধিকার হারান মেয়ে? যা জানাল আদালত

বিয়েতে পণ দেওয়া হলে কি বাবার সম্পত্তির ওপর অধিকার হারান মেয়ে? যা জানাল আদালত

মেয়র বিয়েতে বাবা যদি পণ দিয়ে থাকেন, তাহলে কি বাবার সম্পত্তির ওপর অধিকার হারান মেয়ে? প্রশ্ন ছিল এটাই। আর তার স্পষ্ট জবাব দিল বম্বে হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বেআইনি ভাবে মেয়ের বিয়েতে পণ দেওয়া হলেও বাবার সমপত্তির ওপর পূর্ণ অধিকার রয়েছে সেই মেয়ের। আদালত এই রায় দিয়েছে তেরজিনা মার্টিন ডেভিড বনাম মিল গোয়ার্দা রোজারিও মার্টিন মামলায়। বিচারপতি মহেশ সোনকের এক সদস্যের বেঞ্চ বলে, ‘বিয়ের সময় যদি মেয়েদের পণ দেওয়াও হয়, তার মানে এই না যে পৈতৃক সম্পত্তির ওপর থেকে তাদের অধিকার কোনও অংশ কমে যায়।’

উল্লেখ্য, পারিবারিক বিবাদের এক মামলায় চার ভাই ও মা আদালতে দাবি করেছিলেন, বিয়ের সময় চার বোনকে পণ দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে বাবার সম্পত্তির ওপর বোনেদের কোনও অধিকার থাকার কথা নয়। তবে চার ভাইয়ের এই দাবিকে খণ্ডন করে আদালত বলে, ‘বাবার মৃত্যুর পর চার ভাই মিলে ৪ বোনের অধিকার যেভাবে খর্ব করতে চেয়েছেন, তা সঠিক নয়। বিয়ের সময় যদি পণ দেওয়া হয়েও থাকে, তার অর্থ এই নয় যে পৈতৃক সম্পত্তির ওপর থেকে সেই মেয়েদের অধিকার এতটুকু কমছে।’ এদিকে মামলায় চার ভাই এটা প্রমাণ করতেও ব্যর্থ হন যে চার বোনকে বিয়ের সময় ‘পর্যাপ্ত পণ’ দেওয়া হয়েছিল।

এই আবহে আদালত বলে, ‘রেকর্ডে থাকা প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, যৌথ পরিবারের সম্পত্তি থেকে বোনদের বাদ দেওয়ার জন্য ভাইরা একচেটিয়াভাবে তা বিক্রি করেছিল। চার বোনের মধ্যে শুধুমাত্র একজন ভাইদের পক্ষে। তার মানে এই নয় যে পারিবারিক এই ব্যবস্থা বা মৌখিক বিভাজনের বিষয়টি যথাযথভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’ উল্লেখ্য, মামলায় ভাইরা দাবি করে যে মৌখিক ভাবে পৈতৃক সম্পত্তির ওপর থেকে নিজেদের অধিকার বর্জন করেছিল চার বোন। এই আবহে তাদের বাড়ি এবং দোকান ভাইদের নামে করা হয়। এদিকে মামলাকারী মহিলার দাবি, পরিবারের বড় মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। এই আবহে পারিবারিক সম্পত্তি বিক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মামলাকারী মহিলা দাবি করেন, ১৯৯০ সালেই মা এবং অন্য এক বোনের সম্মতিতেই তাদের পারিবারিক সম্পত্তি ভআইদের নামে করা হয়। তবে এই বিষয়ে তিনি কোনও মত দেননি। এবং ১৯৯৪ সালে তিনি এই বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর থেকেই নিজের অধিকারের জন্য দেওয়ানি আদালতে গিয়েছেন তিনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)