সুজনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করলে রাগ করতে পারেন মমতা! কারণ জানালেন ব্রাত্য

সুজনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করলে রাগ করতে পারেন মমতা! কারণ জানালেন ব্রাত্য

কলকাতা: শিক্ষা দফতরে নিয়োগ নিয়ে যখন বাম তৃণমূলের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি  চলছেই, তখন বিতর্কের ঢেউ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর দফতরের তরফ থেকে সুজন-জায়া মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে ওঠা বিতর্কের বিষয়ে মুখ খুললেন।

সামাজিক বিড়ম্বনার জন্য সুজন জায়ার উদ্দেশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেও এই পরিস্থিতির জন্য সিপিএম নেতাদেরই দায়ী করেছেন ব্রাত্য৷ দাবি করেছেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নিয়োগ নিয়ে ১৯৮৭ সালে সিপিএমের অন্দরেও তুুমুল বিতর্ক হয়েছিল৷

বাম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যখন রাজ্যের  নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে লাগাতার সুর চড়ানো হয়েছে, তখনই চিরকুটে চাকরি বিতর্ক উস্কে দিয়ে গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিএম মুখপাত্র সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং পার্থ ভৌমিক। আজ সেই প্রসঙ্গেই  সাংবাদিক সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এই কাদা ছোড়াছুড়ির জন্য সরাসরি সিপিআইএমকেই দায়ী করেন।

গতকাল দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করার পরে শিক্ষা দফতরকে সেই নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী সেই প্রসঙ্গে জানান, “কিছু তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। মিলি চক্রবর্তীর ইন্টারভিউ হয়েছিল কিনা সেটা ওই নথি থেকে স্পষ্ট নয়। সেটা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন, সেটা হবে কিনা সেটা পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন।”

মিলি চক্রবর্তী ২০২১ সাল পর্যন্ত  সরকারি বেতন নিয়ে চাকরি করেছিলেন এবং তারপর থেকে তিনি যে সরকারি পেনশন ভোগ করেন এই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হলে মুখ্যমন্ত্রী সেটাকে ভালভাবে নাও নিতে পারেন।’ কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত কোনও রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমস্যায় পড়ুন, তা চান না মুখ্যমন্ত্রী৷

যদিও বাম নেতৃত্বের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল একবারও বলেনি বাম আমলের চাকরির পিছনে দুর্নীতি ছিল। বলেছে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। যদি তার পরে আদালত তদন্তের নির্দেশ দেয় তবে সেই মতো তদন্ত হবে। শুধু একটা দলকে যেন সামাজিক খাপ পঞ্চায়েতের সামনে না ফেলা হয় আমরা শুধু সেটা বলেছিলাম।’

সুজনের ট্যুইটের জবাবও এদিন দি য়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘উনি কে হরিদাস পাল? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? পলিটব্যুরো সদস্য? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের তুলনা করছেন? দলে কী জায়গা রয়েছে ওঁর? যা হয়েছে, তা কাল পার্থ ভৌমিক বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন। বাকিটা শ্বেতপত্রে প্রকাশ করা হবে।’

(Feed Source: news18.com)