এবার পুরসভাগুলির হাত থেকে একজিকিউটিভ অফিসার নিয়োগের অধিকার কেড়ে নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের প্রমাণ পেয়ে এই পদক্ষেপ বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর। সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠছে, নিজেদের চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের ওপর কি কোনও নিয়ন্ত্রণই কি নেই সরকারের?
পুরসভার একজিকিউটিভ অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয় অবসরপ্রাপ্ত WBCS আধিকারিকদের। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, অনেক পুরসভাই সেই বিধি মানছে না। নিজেদের পছন্দমতো লোক বসাচ্ছে তারা। সম্প্রতি অয়ন শীলের গ্রেফতারির পরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে তদন্তে এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে, বহু জায়গায় পুরসভার বেআইনি কাজে কোনও বাধা দিচ্ছেন না একজিকিউটিভ অফিসাররা। যার ফলে মুখ পুড়ছে সরকারের।
সমস্যার সমাধানে এবার একজিকিউটিভ অফিসার নিয়োগে কমিটি গঠন করতে চলেছে দফতর। সেই কমিটি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের তালিকা তৈরি করবে। কোনও আধিকারিক ন্যূনতম বিডিও পদ থেকে অবসর নিলে তবেই তিনি প্যানেলে নথিভুক্ত হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। ৫ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করা হবে একজিকিউটিভ অফিসারদের। কারও চুক্তি রিনিউ করার আগে পুরপ্রধান বা জেলাশাসকের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়া হবে। কোথাও শূন্যপদ তৈরি হলে প্যানেল থেকে নিয়োগ করা হবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, নিজেদের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের পর্বতের তলায় চাপা পড়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এখন বাঁচতে তারা এই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। রাজ্যে ২টি বাদ দিয়ে সমস্ত পুরসভা তৃণমূলের দখলে। তার পরও একজিকিউটিভ অফিসার নিয়োগের দায়িত্ব কেন নবান্নকে হাতে তুলে নিতে হচ্ছে। নিজেদের পুরপ্রধান কাউন্সিলরদের ওপরেও কি কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের?
(Feed Source: hindustantimes.com)