আতিক আহমেদের ভাই আশরাফকেও বেরিলি জেল থেকে বের করে আনা হবে, প্রয়াগরাজ নিয়ে যাবে ইউপি পুলিশ

আতিক আহমেদের ভাই আশরাফকেও বেরিলি জেল থেকে বের করে আনা হবে, প্রয়াগরাজ নিয়ে যাবে ইউপি পুলিশ

 

বাহুবলী আতিক আহমেদকে গুজরাটের সবরমতি জেল থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি ছাড়াও আতিকের ভাই আশরাফকেও বেরেলি জেল থেকে বের করে প্রয়াগরাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুজনেই উমেশ পাল মামলার প্রধান আসামি।

বাহুবলি মাফিয়া আতিক আহমেদ জাহান উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে একটি কাফেলায় সবরমতি জেল ছেড়েছেন। একই সঙ্গে তার ভাই আশরাফকেও বেরেলি জেলা কারাগার (কেন্দ্রীয় কারাগার-২) থেকে বের করে আনা হতে পারে। আশরাফকে বেরেলি জেল থেকে বের করে আনতে পারে প্রয়াগরাজ পুলিশ।

দয়া করে বলুন যে বাহুবলী আতিক আহমেদের ভাই খালিস অসীম অর্থাৎ আশরাফ গত আড়াই বছর ধরে বরেলি জেলে সাজা ভোগ করছেন। আশরাফ ও আতিক দুজনেই রাজুপাল হত্যা মামলার আসামি। অনুগ্রহ করে বলুন যে প্রয়াগরাজে রাজু পাল হত্যা মামলার পরে, সাক্ষী উমেশ পালকে অপহরণ করা হয়েছিল।

এই ঘটনা

উল্লেখযোগ্যভাবে, উমেশ পাল এই মামলায় আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফের বিরুদ্ধে 2007 সালের মে মাসে যখন রাজ্যে বিএসপি সরকার গঠিত হয়েছিল তখন অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। উমেশ পাল দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে তারা তাকে অপহরণ করেছে এবং তার সাক্ষ্য পরিবর্তন করার জন্য তাকে চাপ দিয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন ২৮ মার্চ আদালতে রায় আসার কথা। আদালতে সিদ্ধান্ত হওয়ায় আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে প্রয়াগরাজে আনা হচ্ছে। আদালতে সাজা ঘোষণার সময় আতিক আহমেদও হাজির থাকবেন। আশরাফকে কারাগার থেকে বের করার প্রস্তুতিও চলছে বলে জানা গেছে।

উমেশ পাল হত্যা মামলায় আশরাফেরও নাম রয়েছে

উমেশপালকে 2023 সালের 24 ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে খুন করা হয়। হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মাফিয়া আতিক আহমেদ, তার ভাই সাবেক বিধায়ক আশরাফ, স্ত্রী শায়েস্তা পারভীন, ছেলে আসাদ, আলী, উমর, শুটার, গোলাম, সাবির, মুসলিম গুড্ডু প্রমুখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই খুনের মামলার তারগুলিও আশরাফের সঙ্গে যুক্ত, যিনি বরেলি জেলে বন্দী।

আতিক ভাইকে প্রয়াগরাজ নিয়ে আসা হচ্ছে

বাহুবলী নেতা আতিক আহমেদকে গোপন পথ ধরে সবরমতি কারাগার ছেড়েছে ইউপি পুলিশের দল। 30 ঘন্টার জন্য বিরতিহীন 1275 কিলোমিটার যাত্রা শেষ করতে 5.40 টার দিকে ইউপি পুলিশের ছয়টি গাড়ির একটি কনভয় সবরমতি জেল ত্যাগ করে। আতিক আহমেদকে নিতে সবরমতি জেলে পৌঁছেছিল ৪৫ পুলিশ সদস্যের একটি দল। কারাগার থেকে বের হওয়ার আগে আতিক আহমেদের মেডিকেল টেস্ট করা হয়, এরপর রিপোর্ট স্বাভাবিক হলে তাকে কারাগার থেকে বের করা হয়।

(Feed Source: prabhasakshi.com)