স্কুলের প্রিন্সিপালের ঘরে মদের বোতল, কন্ডোম! তাজ্জব পরিদর্শকরা

স্কুলের প্রিন্সিপালের ঘরে মদের বোতল, কন্ডোম! তাজ্জব পরিদর্শকরা

চলছিল স্কুল পরিদর্শন। আর তখনই স্কুলের প্রিন্সিপালের রুম থেকে বেরিয়ে এল কন্ডোম, মদের বোতল। আপত্তিকর এই সমস্ত সামগ্রী উদ্ধারের পর ওই এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। শনিবার মধ্যপ্রদেশের মোরেনার একটি স্কুলে এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেখানের এক প্রাইভেট স্কুল বিল্ডিংয়ের ভিতরে এমন কাণ্ডে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

যে দলটি স্কুল পরিদর্শনে এসেছিল, তারমধ্যে ছিলেন, রাজ্য শিশু অধিকার সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য নিবেদিতা শর্মা, সঙ্গে ছিলেন ডিসট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার একে পাঠক। ন্যাশনাল হাইওয়ের কাছে অবস্থিত ওই স্কুলে একটা সাধারণ পরিদর্শনের জন্য পৌঁছন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা। সেই সফর ছিল ‘সারপ্রাইজ’ পরিদর্শন। তখনই স্কুলের ভিতর প্রিন্সিপালের রুম থেকে বের হয় ওই আপত্তিকর সামগ্রী। এই সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার পর নিবেদিতা শর্মা বলেন, ‘আমরা রুটিন পরিদর্শনে এসেছিলাম। তবে আমরা স্কুল ক্যাম্পাসর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ভালোভাবে নীরিক্ষণ করেছি। তবে স্কুলের একপ্রান্ত আর অন্য প্রান্ত ভিতর থেকে প্রথমে বন্ধ ছিল। সেখানে আমাদের কেউ নিয়ে যেতে চাননি। তখনই আমরা এগিয়ে যাই, আর নিজেরা খতিয়ে দেখি। আমরা যখন ভিতরে ঢুকি তখন দেখি সেখানে একটি রেসিডেন্শিয়াল সেট আপ রয়েছে। সেটি কোনও একজনের নয়। অনেকে সেখান থেকে বের হচ্ছেন। সেই অংশটি বাসস্থান হিসাবে ব্যবহার হত।

এছাড়াও নিবেদিতা শর্মা বলেন, ‘এছাড়াও বিশাল পরিমাণের মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে, যা আমাদের অবাক করেছে। এটা ঠিক যে ফাদার (প্রিন্সিপাল) এর ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে, তবে স্কুলের চত্বরে মদ নিষিদ্ধ। এটা নিয়ম লঙ্ঘনের সামিল। আবগারী বিভাগ এর তদারকি করছে। এছাড়াও কন্ডোমের মতো আপত্তিকর নানান জিনিস ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে।’এছাড়াও স্কুল পরিদর্শকরা বলছেন, স্কুলের প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজারের চেম্বার ক্লাসরুমের সঙ্গে সংযুক্ত। সেই বিষয়টিও বেশ আপত্তিকর। নিয়ম অনুযআয়ী, ক্লাসরুমের সঙ্গে রান্না করার ঘর একজায়গায় রাখা ঠিক নয়। তাঁদের প্রশ্ন ক্লাসরুমের কাছে গ্যাস সিলিন্ডার কী কর থাকে? গোটা বিল্ডিংটি সিল করা হয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)