ডন ব্র্যাডম্যানের প্রশংসায় সচিনের কী প্রতিক্রিয়া ছিল? ২৬ বছর পর বললেন তেন্ডুলকর

ডন ব্র্যাডম্যানের প্রশংসায় সচিনের কী প্রতিক্রিয়া ছিল? ২৬ বছর পর বললেন তেন্ডুলকর

ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। এরপর তেন্ডুলকর তাঁর ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড গড়েছেন। যা বর্তমান ক্রিকেটেও ভাঙা প্রায় অসম্ভব। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করার নিরিখে তেন্ডুলকর এক নম্বরে রয়েছেন। সচিনকে ছোটবেলায় ব্যাটিং করতে দেখে অনেক অভিজ্ঞই তাঁর সোনালি ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মহান কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যান।

ডন ব্র্যাডম্যানের একটি বক্তব্য এখনও সচিন তেন্ডুলকরের কানে বারবার প্রতিধ্বনিত হয়ে থাকে। ক্রিকেটের মহলে এবার সেই কথাটি জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। ডন ব্র্যাডম্যান একবার সচিন তেন্ডুলকর সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি তাঁকে টেলিভিশনে খেলতে দেখেছি এবং তাঁর কৌশল দেখে অবাক হয়েছি। আমি আমার স্ত্রীকে তাঁকে দেখতে বলেছিলাম। এখন হয়তো আমি নিজে খেলতে পারি না, কিন্তু আমার মনে হয় এই খেলোয়াড় ঠিক সেই ভাবেই খেলছেন, ঠিক যেভাবে আমি একটা সময় খেলতাম। আমি তাঁর খেলা টিভিতে দেখে বলেছিলাম যে আমাদের দুজনের খেলার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তার কম্প্যাক্টনেস, টেকনিক, স্ট্রোক প্রোডাকশন, সবকিছুই আমার একই রকম মনে হয়েছিল।’

এখন ২৬ বছর পরে সচিন তেন্ডুলকার নিজেই ডনের সেই প্রশংসা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। ডন ব্র্যাডম্যানের কথা স্মরণ করে তেন্ডুলকর বলেছিলেন যে বিবৃতিটি তখন তার মতো একজন তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে ‘সোনার’ মূল্য ছিল। যাইহোক, তেন্ডুলকর তাঁর বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট যে মিলগুলি বলেছিলেন সেগুলি সম্পর্কে কথা বলা থেকে বিরত ছিলেন।

তেন্ডুলকর বলেছিলেন, ‘এটি একটি কঠিন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। এটি একটি বড় বক্তব্য। আমার বয়স তখন ছিল মাত্র ২২ বছর এবং সেই বয়সের একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ থেকে এইরকম কিছু শুনেছি যা সোনার মতো ছিল। তাদের মধ্যে কী মিল রয়েছে তা নিয়ে কথা বলা আমার পক্ষে ঠিক হবে না। আমি সব তাঁর পরিবারের উপর ছেড়ে দিয়েছি। আমি মনে করি এই বিবৃতিটি এমন সময়ে এসেছিল যখন আমি ভেবেছিলাম ‘বাহ! আমি নিজেকে আরও বেশি করে প্রমাণ করব।’ এই বক্তব্যটা আমার জন্য সঠিক সময়ে এসেছিল।’

(Feed Source: hindustantimes.com)