রত্নগিরি : দেশজুড়ে সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। এজন্য সোশাল মিডিয়ায় মাঝেমঝ্যেই তাঁকে প্রশংসা করতে দেখা যায় নেটাগরিকদের। এহেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক নীতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) নাকি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন ! সম্প্রতি এমনই জল্পনা শুরু হয়। এনিয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী (Central Minister)।
মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতিন গডকড়ী জানিয়ে দেন, “রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই।” পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দায়িত্বপূর্ণ সাংবাদিকতা করা উচিত সাংবাদিকদের।
মুম্বই-গোয়া হাইওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। গতকাল আকাশপথে সেই কাজ খতিয়ে দেখেন গডকড়ী। পরে মন্ত্রী জানান, মুম্বই-গোয়া ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ এবছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পরের বছর জানুয়ারিতেই ওই রাস্তা গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই রাস্তার গোয়ার অংশের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এটা এমন একটা হাইওয়ে হতে চলেছে যা কোঙ্কনের সবথেকে আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলকে সংযুক্ত করতে চলেছে। এটা পর্যটনের বিকাশ ঘটাবে। এর পাশাপাশি শিল্পেরও উন্নয়ন হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর বিজেপি-র সংসদীয় বোর্ডে (BJP Parliamentary Board) বড় ধরনের রদবদল হয়। সেই কমিটি থেকে বাদ পড়েন নীতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। বিজেপি-র সংসদীয় কমিটি দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ জায়গা। দলের হয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত, নিজেদের দখলে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সভাপতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতারা এই কমিটির দ্বারাই চালিত হন। সেই কমিটি থেকে গডকড়ি বাদ পড়ায় হতবাক হন অনেকেই। প্রশ্ন ওঠে, মোদি-শাহর ‘কাছের মানুষ’ না হওয়ায় কি এই সিদ্ধান্ত ?
মনমোহন প্রশস্তি-
তবে, এহেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক বরাবর স্পষ্ট কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন। দলের তুলনায় সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে (Manmohan Singh) প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। মন্তব্য করেন, মনমোহনের হাতে যে অর্থনৈতিক সংস্কার (Economic Reforms) ঘটেছে, তার জন্য় ওঁর কাছে চিরকাল ঋণী থাকবে দেশ। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষের সুবিধার্থে উদার অর্থনীতিই বেছে নেওয়া উচিত ভারতের। ১৯৯১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এই অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ শুরু করেন। ভারতকে উদার অর্থনীতির রাস্তা দেখান তিনিই।
(Feed Source: abplive.com)