সিভিক ভলান্টিয়াররা কি তোলা তোলেন?‌ সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

সিভিক ভলান্টিয়াররা কি তোলা তোলেন?‌ সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

সম্প্রতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজকর্ম নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আবার রাজ্য পুলিশ বিবৃতি দিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলার কাজের দায়িত্বে রাখা হয় না সিভিক ভলান্টিয়ারদের। তাঁরা ট্র্যাফিক সামলান, আসামি ধরেন, তদন্তে সহযোগিতা করেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, অনেকে দালালের মতো কাজ করেন। অসহায়কে সাহায্য করতে টাকাকড়ি নেন। আবার কারও কারও জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ –কে বলে কেস হালকা করে দিতে পারেন। এমনকী ট্র্যাফিক সিগন্যালে সুযোগ বুঝে এঁরা টাকা তোলেন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ এবার সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে বলে খবর। এই অভিযোগ উঠতেই সেটার তদন্ত সিআইডি’‌র হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই টাকা তোলা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। কল্যাণী পুরসভার এক তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি জানিয়েছেন, এই টাকা তোলার ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে নিরপেক্ষ সংস্থা হিসাবে সিআইডি তদন্ত করবে। এই নির্দেশের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি সিভিক ভলান্টিয়াররা তোলা তোলেন?‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০০৮ সালে কলকাতায় ট্র‌্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকাতা পুরসভা ‘গ্রিন পুলিশ’ নামে বাহিনী গঠন করেছিল। যদিও তার মূল উদ্যোগ শুরু হয় ২০১২ সালে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০১৩ সালে রাজ্যে ৪০ হাজার পুলিশ এবং ১ লক্ষ ৩০ হাজার ‘সিভিক পুলিশ ভলান্টিয়ার’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। তখন থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে পুলিশবাহিনীতেও চর্চা শুরু হয়। বিশেষ করে আপত্তি ওঠে ‘পুলিশ’ শব্দটি নিয়ে। এটা জানতে পেরে ২০১৪ সালে বাহিনীর নাম থেকে ‘পুলিশ’ শব্দটি ছেঁটে দেয় রাজ্য সরকার। আর নাম হয় সিভিক ভলান্টিয়ার। তাতে বিষয়টি মিটে যায়।

নিয়োগের নিয়ম ঠিক কী?‌ সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের নিয়ম, ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়স হলেই সিভিক ভলান্টিয়ার পদের জন্য আবেদন করা যায়। অষ্টম শ্রেণি পাশ হলেই আবেদন করা যায়। তবে এরা কেউ সরকারি কর্মী নন। এখানে নির্বাচিত হলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দু’সপ্তাহের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেহেতু এই আবেদন থেকে নিয়োগ গোটা প্রক্রিয়াটি অফলাইনেই হয় তাই বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতাদের ধরেই সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে যাওয়া যায়। আর নেতার হাত মাথায় থাকায় এক্তিয়ার বহির্ভূত একাধিক কাজ করেন তাঁরা। তোলা তোলেন তাঁরা। ভয় দেখান রাস্তায়। আনিস খান হত্যায় সিভিক ভলান্টিয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তাছাড়া কলকাতার পথে ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবকের বুকের উপরে পা তুলে দিয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সেটাও সবাই দেখেছেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)