শক্তিগড়ে গুলিতে ঝাঁঝরা রাজু ঝাঁ, বিজেপিতেও যোগ দিয়েছিলেন, কে এই কয়লা কারবারী?

শক্তিগড়ে গুলিতে ঝাঁঝরা রাজু ঝাঁ, বিজেপিতেও যোগ দিয়েছিলেন, কে এই কয়লা কারবারী?

শনিবার সন্ধ্য়া। সাদা রঙের একটি গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছিল শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের কাছেই। কিছু বুঝে ওঠার আগে গাড়িকে নিশানা করে গুলি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ৬-৮রাউন্ড গুলি চলে। একটি নীল রঙের গাড়ি দ্রুত কলকাতার দিকে চলে যায়। আর যাকে নিশানা করে গুলি করা হয় তিনি হলেন রাজু ঝাঁ। গাড়ির চালকের পাশের আসনে ছিলেন তিনি। সেখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি।

চালক পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা খাবার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। দুর্গাপুর থেকে আসছিলেন। তখনই গুলি। গাড়িটি বীরভূমের এক বাসিন্দার নামে রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে রাজুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কে এই রাজেশ ঝাঁ ওরফে রাজু ঝাঁ?

সূত্রের খবর, তিনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা। বিগতদিনে তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। খোলা মুখ খনি ও অবৈধ কয়লার কারবারে নাম জড়িয়েছিল তার। সিআইডি তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছিল। তিনি রাজু ঝাঁ বলেই পরিচিত। ২০২১ সালের ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।তারপরেই সিআইডি তাকে হেফাজতে নিয়ে নিয়েছিল।

আসানসোল ইউনিটের বিজেপির সভাপতি দিলীপ দে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ভোটের পরেই রাজু তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। ভোটের ফলাফল বের হতেই তিনি বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানে আসতেন না।

পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় ব্যপক তল্লাশি চলছে। কারা রয়েছে এর পেছনে? ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি এর পেছনে অন্য় কোনও কারণ? সবটাই দেখছে পুলিশ। চলছে নাকা তল্লাশি।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীর পরিচিত। গাড়িটি যে ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়াবে তা তারা জানত। সেকারণেই তারা ওই জায়গাটিকে টার্গেট করেছিল। পুলিশ ইতিমধ্য়েই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

(Feed Source: hindustantimes.com)