মমতার ‘দিল্লি চলো’ ডাক… এবার অভিষেকের নেতৃত্বে রাজধানীতে ধরনা তৃণমূলের

মমতার ‘দিল্লি চলো’ ডাক… এবার অভিষেকের নেতৃত্বে রাজধানীতে ধরনা তৃণমূলের

নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবার দিল্লিতে ধরনায় বসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এর দফতরের সামনে ধরনায় বসবে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ধরনা করবেন তৃণমূল সাংসদরা।

সোমবার দুপুরে সংসদ ভবনে দলের কার্যালয়ে বৈঠক করেন অভিষেক। তারপরেই ধরনা, বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। এর আগে দিল্লিতে ধরনার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেন, “মানুষ অধিকার ফেরত না পেলে, দিল্লি চলো।” জনতাকে জোট বাঁধার ডাক শহিদ মিনারের ধরনা সভা থেকেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পথেই এগোচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মমতা গত সপ্তাহের ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “নেতাজি, গান্ধিজির মতো মণীষীদের ছবি হাতে নিয়ে, আমরাও দিল্লি যেতে পারি। প্রয়োজনে ভাড়া করে ট্রেনে যাব। সংরক্ষণ না দিলে, মানুষ জবাব দেবে। যে খানে আটকে দেবে সেখানেই পথে বসে পড়ব।”

মমতা আরও বলেন, “ভেবেছিলাম কেন্দ্রীয় সরকার ভদ্রতার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। বলবে তোমাদের প্রাপ্য টাকা দেব। বাংলাকে বঞ্চিত করার জন্য, ফেডারেল স্ট্রাকচারকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশটা পুরো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৩-৪ জনকে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ লাইফ ইনসিওরেন্স পাবে না৷ বিরোধী দলকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে বার বার।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বার দেখা করে এসেছি। সৌজন্য দেখিয়ে দেখা করেছি। যাতে আমাকে ঝগড়ুটে না বলতে পারে৷ আমরা আন্দোলন করেছি, ধরনা করেছি, মন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তা সত্বেও যা পেতাম, তাও বাদ। হরেকরকম্বা। নেই কাজ তো খই ভাজ। কোন অধিকারে বাংলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়?” কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মমতা অভিযোগ, ”ওরা ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না। মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো।  আমি এর আগে অটল বিহারি বাজপেয়ীকে দেখেছি, এত ঔদ্ধত্য দেখিনি। কাজ করালে টাকা দেওয়াটা সাংবিধানিক অধিকার। এখান থেকে চোর, ডাকাত, গদ্দার যাচ্ছে দিল্লিতে। গিয়ে বলছে বাংলায় কিছু দেবেন না৷ বাংলায় অর্থনৈতিক অবরোধ হলে আমরাও রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অবরোধ করতে পারি।”

(Feed Source: news18.com)